আবদুল্লাহ আল মামুন:
‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী পুরুষ সমতা এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে’ ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়া এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফ আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সী, থানার ওসি (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম। আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব সভাপতি সিরাজ উদ্দিন দুলাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা পেয়ার আহমেদ প্রমুখ। এসময় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা এ.কে.এম রুহুল আমিন ভূইয়া, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা বিপ্লব চক্রবর্তী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ মহসিন সহ সাংবাদিক, শিক্ষক, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীমুক্তি, সমাজ সংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃত। বেগম রোকেয়া অগ্রসর মানসিকতা, দূরদর্শী চিন্তা, যুক্তিপূর্ণ মতামত তৎকালীন নারীসমাজকে জাগিয়ে তোলেন। সামাজিক নানা বিধি-নিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে। তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক বৈষম্য দূর করে নারীর মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বপ্ন দেখেছিলেন।
তাঁরা আরো বলেন, নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারীসমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নকে নিশ্চিত করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। নারীর মর্যাদা, অধিকার ও স্বনির্ভরতা অর্জনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই বেগম রোকেয়ার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারীসমাজের অগ্রযাত্রায় পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে- বেগম রোকেয়া দিবসে এই হোক আমাদের একান্ত প্রত্যাশা।
বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজয়ী যে চার জন জয়িতারা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ফিরোজা আক্তার, সমাজে অসামান্য অবদান রাখায় ইয়ারপুর মহিলা কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রীর হোসনে আরা কাউসার, নির্যাতনের বিভভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করায় ফুল বানু, সফল জননী কাজল মজুমদার।