আবদুল্লাহ আল মামুন:
দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রণোদনা পাচ্ছেন ৮৪০ জন কৃষক। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে স্থানীয় কৃষকরা এসব সুবিধা পাচ্ছেন।
শনিবার (৬নভেম্বর) উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল কবীর রতন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া’র সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দিদারুল কবীর রতন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মহিউদ্দিন মজুমদার। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সী। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, সংশ্লিষ্ট উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিক ও কৃষক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা সরকারের উন্নত কৃষি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে বলেন, যে প্রযুক্তি এসেছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে অবশ্যই মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে দেশকে সমৃদ্ধশালী করা যাবে। রফতানি বহুমুখীকরণেও কৃষিখাত বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধান অতিথি ২০২১-২২ অর্থ বছরে রবি/২০২১-২২ মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমূখী, চিনাবাদাম, মুগ, মসুর, খেসারি ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও মাঝারি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় মোট ৮৪০ জন কৃষক এ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ১ বিঘা জমি চাষের জন্য একজন কৃষক (যে কোন একটি ফসলের জন্য) গম বীজ ২০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি হারে মোট ৪০ কেজি ভুট্টা বীজ ২ কেজি, ডিএপি ২০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি হারে মোট ৩২ কেজি, সরিষা বীজ ১ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি হারে মোট ২১ কেজি সূর্যমূখী বীজ ১ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ১০ কেজি হারে মোট ২১ কেজি। চিনাবাদাম বীজ ১০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি, হারে মোট ২৫ কেজি। মুগ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি হারে মোট ২০ কেজি। মসুর বীজ ৫ কেজি হারে মোট ২০ কেজি। খেসারী বীজ ৮ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি হারে মোট ২৩ কেজি উপকরণ সহায়তা হিসেবে পাবেন।