আবদুল্লাহ আল মামুন:
দাগনভূঞায় বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব “বাংলা নববর্ষ-১৪২৯” উদযাপিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রা, লোকজ মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে স্থানীয় আতার্তুক সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে নতুন পোশাকে বর্ণিল নানা ব্যানার, ফেস্টুনসহ নানা সাজে পহেলা বৈশাখের বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। র্যালিতে নেতৃত্ব দেন দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি।
পরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে র্যালিত্তোর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গাজালা পারভীন রুহি এর সভাপতিত্বে ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সি। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আবদুল ওহাব সরকার, উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আইনুল হোসাইন চৌধুরী জিলানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা পেয়ার আহমেদ, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন ও রিপোর্টার্স ইউনিটির কোষাধ্যক্ষ শাখাওয়া হোসেন টিপু প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকসানা আক্তার, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি খায়েজ আহমেদ ও করিম উল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজন বিহারি ভৌমিক।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও শিশুকিশোররা সহ নানা শ্রেণির পেশার মানুষ। আলোচনা সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিরণ করা হয়।
এসময় বক্তারা “পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য একটি অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। পহেলা বৈশাখ সকল অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে সামনের দিনগুলোতে সবার জন্য শান্তিবয়ে আনুক এমন প্রত্যাশা করেন বক্তরা।”