আবদুল্লাহ আল মামুন:
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে, দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে উপকরণ ও সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবীর রতন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন মুন্সী, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইনুল হোসাইন জিলানী,
দাগনভূঞা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মুনাফ পিন্টু ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজককর্মী জনি শ্যাম প্রমুখ। এসময় ১৪ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তিনজন ভিক্ষুককে তিনটি গরু, দশজনকে ১০টি ছাগল ও অপর একজন প্রতিবন্ধীকে মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা করার জন্য উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এসময় আরও ১৯জন ভিক্ষুককে এককালীন অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান, পুনর্বাসন ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনা দরকার। ভিক্ষাবৃত্তি অমর্যাদাকর পেশা। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ঘৃণিত একটি পেশা মানুষ গ্রহণ করুক এটা কাম্য নয়। এটি ব্যক্তি পরিবার, সমাজ ও দেশের সম্মান নষ্ট করে। দারিদ্র্যেও কষাঘাতে পিষ্ট হয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে অথবা শারীরিক অক্ষমতায় অনেকে ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়। অর্থ-উপার্জনের সহজ পথ হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে অনেকে পেশা ও ব্যবসা হিসেবে বেছে নেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মধ্যম আয়ের ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না। এ উদ্দেশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দাগনভূঞা উপজেলায় গ্রহণ করা হয়েছে ভিক্ষুক মুক্তকরণ, ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন কর্মসূচি।