মোঃ-আলমগীর হোসেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলা নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হক মোমিন মাস্টারকে এক নারীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে স্থানীয়রা।গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ: থানায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ।
গতকাল ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভগিরথপুরের আলিহীমের বাড়ি থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাকে গণধোলাই দেয় উত্তেজিত জনতা। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেয় পুলিশ। থানায় নেয়া হয় একই উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের ওই নারী ও তার স্বামীকে।
ভগিরথপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াছ হোসেন জানান, সন্ধ্যায় মরাগাং বাওড় পাহারা দিতে আমি ও অরো হালদার নৌকা নিয়ে যায়। পরে ওই মেয়ের চিৎকার শুনে সেখানে যায়। সেখানে মোমিন মাস্টারকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। তার হাতে একটি জন্মবিরতিকরণ কনডম ছিল। ওই মেয়ের চিৎকারে তার স্বামীসহ স্থানীয়রা ছুটে এসে মোমিন মাস্টারকে মারধর করে। মোমিন মাস্টার ভালো হলে সন্ধ্যায় ফাঁকা বাড়িতে এক নারীকে নিয়ে কি করছিল? সে তো দামুড়হুদায় ভাড়া থাকে।
বেড়বাড়ি গ্রামের ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচাদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত একটি বিরোধ চলে আসছে। মোমিন মাস্টার ভালো উকিল দিয়ে মামলায় আমাদের জিতিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। উকিল এসেছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় আমি ও আমার স্বামী তার কথা মতো ভগিরথপুর গ্রামের আলিহিমের বাড়ি যায়। মোমিন মাস্টার আমার স্বামীকে চা খেতে বাইরে যেতে বলে। পরে ঘরের দরজা আটকে দিয়ে নিজের প্যান্ট ও জামা কাপড় খুলে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। আমি চিৎকার দিলে আমার স্বামী ও স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে। আমি তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে মোমিনুল হক মোমিন মাস্টার জানান, আমাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে ওই নাটক সাজানো হয়েছে। আমি রাজনীতি করি। আমার প্রতিপক্ষরা এ কাজ করেছে। ওই মেয়ের চাচা আমাকে তার কাজ করে দিতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু আমি অসহায় ভেবে কাজ করে দিতে চেয়েছিলাম। আমাকে হত্যাচেষ্টার মর্মে আমিও থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।