এস, মন্ডল, ,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় কৃষি প্রধান উপজেলা হিসাবে খ্যাত এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভশীল। কৃষি থেকে উৎপাদিত ফসলেই তাদের উপার্জনের মুল মাধ্যম। বর্তমারে তেল ও সারের দাম উর্দ্ধগতি থাকায় এই অঞ্চলের সারের ডিলারসহ খুচরা বিক্রেতারা বিভিন্ন অযুহাতে কৃষকদের জিম্মি করে নিজের মতো দাম বসিয়ে সার ও তেল বিক্রয় শুরু করে। ফলে এই এলাকার কৃষিকরা দিশেহারা হয়ে পড়ে।
বিষয়টি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের নজরে আসলে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ অভিযান পরিচালনা শুরু করে। গত দুই সপ্তাহ অভিযান পরিচালনা করে সারের অনুমোদিত ডিলার,অনুমোদন ছাড়া ব্যবসায়ীসহ তৃনমুল পর্যায়ের ০৭জন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জরিমানাকৃত দোকান সমূহ- শিবনগর বাজারের মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সের ৭ হাজার টাকা ও মেসার্স সেকেন্দার ট্রেডার্স এর ৫ হাজার টাকা জরিমানা,বারাইহাটে মেসার্স লুৎফর রহমান ট্রেডার্স ২৫হাজার টাকা, চৌধুরী মোড়ে মেসার্স চৌধুরী এন্টার প্রাইজ ২০হাজার টাকা,আমডুঙ্গীবাজারে সোহাগ এন্টার প্রাইজে ৫ হাজার টাকা,মেসার্স মদিনা ট্রেডার্সকে ৭ হাজার টাকা,মেসার্স সেকেন্দার ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা, পৌর শহরের মেসার্স উর্মি ট্রেডাস ৫হাজার টাকা ও মন্ডল ট্রেডার্স ১৫ হাজার টাকা । নিয়মিত ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ শামিমা আক্তার জাহান।
অসাধু সার ব্যবসায়ীদের চিহিৃত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে সর্বোচ্চ শর্তক থেকে সকল অভিযানে উপস্থিত থাকেন উপজেলা কৃষি অফিসার,কৃষিবিদ মোছাঃ রুম্মান আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার জনাব মোঃ শাহানুর রহমান, অত্র দপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জনাব হুমায়ুন কবির , জনাব দারুসসালাম, জনাব ইয়াসির আরাফাত এবং জনাব ফিরোজ হোসেন চৌধুরী ।
উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব রুম্মান আক্তার বলেন, আমারা সারের দাম নিয়ন্ত্রনে সর্বক্ষনিক তৎপর রায়েছি। কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতাগণ ছাড়া অন্য কেউ অবৈধ্যভাবে সার বিক্রয় করতে পারবে না। লাইসেন্স বিহীন সকল সার বিক্রেতাগণকে সতর্ক করা হয়েছে, তারপরও কেউ লাইসেন্স ছাড়া সার বিক্রয় করলে কিংবা অন্য যেকোনো অনিয়ম করলে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলায় যথেষ্ট সারে মজুদ রয়েছে,এরপরও কেউ সার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ালে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।