মুজাহিদ হোসেন,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ১ নং সাহাগোলা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মো.আব্দুর রাজ্জাক ও হাতিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলী দেওয়ানের পুত্র খাইরুল দেওয়ান, একই গ্রামের মৃত বদিরুজ্জামানের পুত্র মজনু দেওয়ান,খয়বর দেওয়ান সহ প্রায় ১০-১২টি পরিবার তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় বাঁশদিয়ে বেড়া দিয়ে যোগাযোগ অবরুদ্ধ করে রেখেছেন মির্জাপুর মৃত সুজায়েত মৃধার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাবু মৃধা ও তার ভাইয়েরা। এ অবরুদ্ধের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও স্থানীয় ভাবে কোন প্রতিকার না পেয়ে অবরুদ্ধ পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
আবেদন সুত্রে জানা গেছে মির্জাপুর মৃত সুজায়েত মৃধার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাবুসহ তার ভাইদের পুকুরের পূর্বপারে জমি ক্রয় করে গত প্রায় ৩৫ বছর যাবত বসবাস করে এবং শান্তিপূর্ণ এ রাস্তায় চলাচল করেন আব্দুর রাজ্জাক, ও হাতিয়া পাড়া গ্রামের মৃত
বদিরুজ্জামানের পুত্র সহ প্রায় ১০-১২ টি পরিবার। হটাৎ করে এ রাস্তা বন্ধের পরিকল্পনায় গত ৩০ শে মার্চ বুধবার আমিন এনে মাপের আয়োজন করে। মাপের এ আয়োজনে পুকুরের পুর্বদিকের সিমানা ৩ থেকে ৪ ফিট রাজ্জাকের জায়গার ভিতরে এনে তাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি সাখাওয়াত বাবুর সিমানার মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে নিয়ে সিমানা নির্ধারন করেন এবং রাজ্জাককে তার অবশিষ্ট কমতি জায়গা বাড়ির নিচে সাখাওয়াত বাবু তাদের জমি হতে ৩-৪ ফিট জমিতে দিয়েদেন। এতে করে রাজ্জাক সহ অবরুদ্ধ ব্যাক্তিরা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঐ দিন সন্ধ্যায় সাখাওয়াত বাবু তার ছেলে ও ভাইদের নিয়ে দীর্ঘ ৩৫ বছরের চলাচলকৃত এ রাস্তায় বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে গত প্রায় এক সপ্তাহ থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ১০-১২ টি পরিবারকে।
এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান অবরুদ্ধ পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন পেয়েছি এবং জরুরি সমস্যা সমাধানে লক্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবকে দ্বায়িত্ব দিয়েছি। আশা করছি অল্প সময়ে মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।