মুজাহিদ হোসেন,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি-
নওগাঁর ধামইরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ইসবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম। আহত প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ধামইরহাট হাসপাতালে চিকিসাধীন রয়েছেন।
ধামইরহাট থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় চান্দিরা গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দিনের ছেলে শহিদুল ইসলাম গত ৩১ আগস্ট দুপুরে জামায়ের বাড়ীতে যাওয়ার সময় পথরোধ করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে পশ্চিম ধুরইল (রামপ্রসাদ) গ্রামের খাজামুদ্দিনের ছেলে বকুল হোসেনের হুকুমে মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আতোয়ার রহমান বাশের লাঠি দিয়ে সহিদুল ইসলামের মাথায় আঘাত করে। এ সময় তার পকেটে থাকা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিবাদী আতোয়ার রহমান ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শহিদুল ইসলাম ন্যায় বিচার চেয়ে ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত বকুল হোসেনের বলেন,ঘটনার সময় বন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলামকে বলেন বনবিভাগের গাছগুলো চুরি হচ্ছে।আপনারা গাছগুলো ভালো করে দেখাশুনা করবেন।তখন আতোয়ার রহমান বলেন সহিদুল মেম্বারের লোকজন গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে একে-অপরকে দোষারোপ করাকে কেন্দ্র করে আতোয়ার ও শহিদুলের মধ্যে ঠেলাঠেলি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, কোন মারামারি হয়নি বা টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে ৭নং ইসবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল আলম লাকী বলেন, ‘গয়েশপুর চৌধুরীদের সাথে জমি জমা সংক্রান্ত অনেক আগের একটি বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ ছিলো, কিন্তু ঘটনার দিন বনবিভাগের গাছ রোপনকালে তুচ্ছ কথাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামকে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে, যা নিন্দনীয়, একজন জনপ্রতিনিধির গায়ে হাত তোলা ঠিক হয়নি, আমরা বিষয়টি নিয়ে পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিবো।
ধামইরহাট থানার ওসি বাহাউদ্দীন ফারুকী বিপিএম-পিপিএম বলেন,অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।