মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার ২০ নভেম্বর দিনগত রাতে নজিপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রাণেশ্বর হালদার বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর ১৪৩, ৪৪৮, ৪২৭, ১১৪ ও ৩৪ ধারায় পত্নীতলা থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য- শনিবার দিবাগত রাতে নজিপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মামুদপুর মোড়ে অবস্থিত পৌর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবু তাহের, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ হোসেন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের, পত্নীতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপি’র ২০ থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মী এ হামলায় অংশ নেন। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে চেয়ার, টেবিল ও টিভি ভাঙচুর করেন। এছাড়া আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য অফিসের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী জানান, বিএনপি-জামায়াত ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই দলীয় অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। যাতে করে আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীরা যেন অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ এই মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। সমাবেশে যেতে বাধাগ্রস্ত করতে আরো নতুন নতুন চক্রান্ত করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তিনি।
পত্নীতলা থানার ওসি সেলিম রেজা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে এই মামলায় এখন পর্যন্ত “সংবাদ সংগ্রহকালে” কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।