মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার শিহাড়া ইউনিয়নের শিহাড়া ব্রিজ যা’কিনা বান্ধা সাঁকো নামেই পরিচিত এলাকাবাসীর কাছে । এই সাঁকো দিয়ে চলাচলকারী অনেকেই ডাকাতির শীকার হয়েছেন এবং রাতের অন্ধকারে প্রত্যেকটি ডাকাতির সময়েই বেঁধে ফেলা হতো পথযাত্রীর হাত-পা, আর সেই থেকেই এলাকাবাসির কাছে সেতুটি ‘বান্ধা সেতু’ নামে পরিচিতি পায়।
সন্ধ্যা নামলেই এলাকাবাসী সেই বান্দা সাঁকো’র রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে ভয় পান। কখনো কেউ একা সেই রাস্তা দিয়ে যেতে চান না। এমতাবস্থায় এলাকায় এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে এই বান্ধা সাঁকো।
সর্বশেষ গতকাল রাতে সাপাহার থেকে শিহাড়া মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরার পথে শিহাড়া ব্রিজে (বান্ধা সাঁকো) পৌছুলে শিহাড়া উত্তর পাড়ার মোঃ ইউসুফ আলীর ছেলে মহব্বত ( ২৫ ) ও আমন্ত গ্রামের খাদেম এর ছেলে নুরুজ্জামান (২৭) -কে ডাকাতেরা গতিরোধ করে ঘিরে ফেলে। এ সময় নুরুজ্জামানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে তাদের কাছে থাকা নগদ অর্থ ও মোটরসাইকেল লুট করে নেয়।
স্থানীয় গ্ৰামবাসীদের থেকে জানা যায়, বছরে ৪-৫ বার এমন ঘটনা ঘটে থাকে ওই শিহাড়া ব্রিজে। গতকাল রাতের ঘটনাতেও একইভাবে শিহাড়া ব্রিজ থেকে প্রায় একশ মিটার দূরে একটি বাঁধের কাছে বেঁধে রাখা হয়েছিল নুরুজ্জামান এবং মহব্বতকে। চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে এলাকাবাসী দেখতে পায়, ডাকাতের একটি দল সেখানে বিভিন্ন জিনিস পত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে মাদক সেবন করেছে।
লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের একজন সদস্য ব্যাতিত বাঁকিরা পালিয়ে যায়। উপস্থিত এলাকাবাসির হাতে আটক শামসুল আলম জেলার সাপাহার থানার পিছলডাঙ্গা গ্রামের লাল মোহাম্মদ’র ছেলে। রাতেই তাকে পত্নীতলা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এর আগেও বহুবার পুলিশকে জায়গাটির বিষয়ে বলা সত্ত্বেও কোন সমাধান মেলেনি, রাতে পুলিশ কোন এক অজানা কারণে সেখানে যেতে চায় না বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পত্নীতলা থানার ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যে আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। আটক সামছুল নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। পলাতক একজনের নাম পরিচয় জানা গেছে।
আপাতত ৩৯৪/৪১২ পেনাল কোডে দু’জনের নামে মামলা হয়েছে এবং আটক একজনকে বুধবার দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি পলাতক অপর আসামী’কে খুব শীঘ্রই গ্ৰেফতার করা হবে।