মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা ৪নং মিঠাপুর ইউনিয়নের মোঃ আব্দুল হামিদ এবং মোঃ আজাহার আলী মীর নামী দুই অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করার বিরুদ্ধে মিঠাপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মতলেবুর রহমান ,বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই সহ ২১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট লিখিত অভিযোগ ১০ অক্টোবর ডাকযোগের মাধ্যমে প্রেরণ করে তার আনুলিপি জেলা প্রশাসক নওগাঁ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলগাছী, নওগাঁর নিকট প্রেরন করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হামিদ পিতা মৃত আশকর আলী মন্ডল গ্রাম মিঠাপুর, ডাকঘর মিঠাপুর ,উপজেলা বদলগাছী ,জেলা নওগাঁ একজন অমুক্তিযোদ্ধা। অথচ ২০১৭ সালের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির প্রতিবেদ এর ক্রমিক নং ৪৫০ এ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই এর প্রমানক ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, গেজেট ও সনদ ছাডাই তার নাম অন্তর ভুক্ত করা হয়। অপর দিকে প্রতিবেদন তালিকার ৫১৫ নং ক্রমিকে প্রমানক ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তিবার্তা, গেজেট,ও সনদ ছাড়ায় অমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজাহার আলী মীর, পিতা মৃত এছাহাক আলী মীর গ্রাম হাকিমপুর, পোঃ মিঠাপুর, উপজেলা বদলগাছী ,জেলা নওগাঁকে প্রতিবেদন তালিকায় অন্তভুক্ত করা হয়। ঐ প্রতিবেদনে ৮৪ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তভুক্ত করে প্রতিবেদন মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। অভিযোগের কারণে উক্ত প্রতিবেদন তালিকাভুক্তদের পুনঃ যাচই বাছাই করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বদলগাছীতে ফেরত পাঠানো হয়। পুনঃ যাচাই বাছাই কমিটির ০৫/১০/২০২০ ইং তারিখের প্রতিবেদ তালিকার ০৯ নং ক্রমিকে মোঃ আব্দুল হামিদ পিতা মৃত আশকর আলী মন্ডল গ্রাম মিঠাপুর, ডাকঘর মিঠাপুর, উপজেলা বদলগাছী জেলা নওগাঁ এবং উক্তরূপ প্রমানক ছাডাই ৫৬ নং ক্রমিকে মোঃ আজাহার আলী মীর পিতা মৃত এছাহাক আলী মীর ,গ্রাম হাকিমপুর, পোঃ মিঠাপুর ,উপজেলা বদলগাছী, জেলা নওগাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রতিবেদন তালিকাভুক্ত করা হয়। যার প্রেক্ষিতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে এর ৭৩ তম সভার আলোচ্য সুচি ৩ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রাণালয়ের বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর /২০২১ বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গেজেট অধিশাখা প্রজ্ঞাপন,যাহা ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ প্রকাশিত হয়। উক্ত প্রকাশিত গেজেটের ক্রমিক নং ৬১, গেজেট নং ৩৪৩১ মোঃ আব্দুল হামিদ পিতা মৃত আশকর আলী মন্ডল, গ্রাম মিঠাপুর, ডাকঘর মিঠাপুর, উপজেলা বদলগাছী, জেলা নওগাঁ এবং ক্রমিক নং ১০৪,গেজেট নং ৩৪৭৪, মোঃ আজাহার আলী মীর পিতা মৃত এছাহাক আলী মীর সাং হাকিমপুর, ডাকঘর মিঠাপুর, উপজেলা বদলগাছী জেলা নওগাঁদ্বয়ের নাম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। উপরোল্লিখিত দুই জন অমুক্তিযোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানো একটি অপরাধমুলক কাজ। প্রেক্ষিতে মিঠাপুর ইউনিয়নের ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কলংঙ্ক এর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নিকট অভিযোগ প্রেরণ করে তার আনুলিপি জেলা প্রশাসক নওগাঁ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলগাছী, নওগাঁর নিকট প্রেরণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মতলেবুর রহমান ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই সহ অভিযোগকারী ২১ জন মুক্তিযোদ্ধা বলেন মোঃ আব্দুল হামিদ ও মোঃ আজাহার আলী মীর ভারতে কিংবা দেশের অভ্যন্তরে কোথাও প্রশিক্ষন গ্রহন করেনি এবং কোন মুক্তিযুদ্ধে আংশ গ্রহন করেনি। মোঃ আব্দুল হামিদ ৫/৬ মাস পুর্বে মৃত্যু বরণ করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আব্দুল হামিদের ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন তার ভাই আব্দুল হামিদ এক বছর হলো মারা গেছে। সে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিপি)তে চাকুরী করতো। বিজিপির গেজেটে তার ভাই আব্দুল হামিদের নাম প্রকাশ হয়নি , হয়েছে বেসামরিক অতিরিক্ত গেজেটে। তাকে সে মুক্তিযোদ্ধা বানায়নি, সে তার যোগ্যতা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তার নাম অন্তভুক্ত করেছে। আজাহার আলী মীর বলেন ভারতের কামারপাড়া ক্যাম্পে তিনি ভর্তি হন। এবং কেশাইল গ্রামের মুজিববাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুর সংঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। অস্ত্র কোথায় পেলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন ফজলু তাকে একটি রাইফেল দিতেন এবং যুদ্ধশেষে রাইফেরটি ফজলু নিয়ে নিতেন। হাকিমপুর গ্রামের কতিপয় ব্যক্তি বলেন আজাহার আলী মীর মুক্তিযোদ্ধা নয়।