মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় মনিটরিং অফিসারদের ম্যানেজ করে ভুয়া তালিকা দেখিয়ে এতিমের টাকা লোপাট করার অভিযোগ উঠেছে।
বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউপির খাদাইল সরকারপাড়া মদিনাতুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা এতিমখানা ও শিশু সনদে কাগজে-কলমে ২৬ জন এতিম দেখালেও বাস্তবে মাদ্রাসায় একজন এতিমও নেই। ভুয়া এতিম বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এতিমখানার ব্যবস্থাপনা কমিটি।
বদলগাছী উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী বদলগাছী উপজেলায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট খাদাইল এতিমখানায় ১৩ জন এতিমের অনুকুলে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। অর্থ বছরের বরাদ্ধকৃত টাকা উত্তোলন করে লোপাট করা হয়।
সরকারের ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট পাওয়া তালিকাভুক্ত খাদাইল এতিমখানায় সরেজমিনে দেখা যায়, কাগজ কলমে এতিমের তথ্য সন্নিবেশ থাকলেও বাস্তবে ঐ মাদ্রাসায় নেই কোন এতিম।
তাছাড়া ১৯৪৪ সালের এতিমখানা সনদ আইনের ধারা ২-এ (৩) অনুযায়ী এতিমের শ্রেণীবিন্যাস (গ) মোতাবেক সরকার কতৃক অনুমোদিত কারীকলামে মানসম্মত সাধারণ ও আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয়/ইসলামি শিক্ষার সুব্যাবস্থা, ৫ জনের অধিক সংখ্যক কর্মকর্তা কর্মচারী, খেলাধুলা ও প্রশিক্ষন প্রদানের ব্যবস্থা, ১০ জনের অধিক সংখ্যক এতিম নিবাসী লালন-পালন করার কথা থাকলেও তার কোনটাই নেই এই এতিমখানা ও শিশুসনদে।
মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ মো. রুহুল আমিন বলেন, কতজন এতিম আছে আমি জানিনা তবে কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলতে পারবেন।
মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের কাছে এতিমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসায় চার জন এতিম ছিলো তারা হাফেজ হওয়ার পর মাদ্রাসা থেকে চলে গেছে। এখন মাদ্রাসায় বর্তমানে একজন এতিমও নেই।
মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মো. পিন্টু সোনার বলেন, ৪ চার জন এতিম ছিলো, তারা হাফেজ হয়ে চলে যাওয়ার পর বর্তমানে মাদ্রাসায় একজন এতিমও নেই।
বদলগাছী উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ বলেন, অনিয়ম যা হয়েছে তা আমার যোগদানের আগে হয়েছে। আমার যোগদানের আগের চাহিদা অনুযায়ী যে টাকা গুলো এসেছে সেগুলো আমি দিয়েছি। আর আমি যে চাহিদা দিয়েছি তা যাচাই বাছাই করে নিয়মের মধ্যেই দিয়েছি।
নওগাঁ জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।