মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের পালশা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় মেহেদী হাসান ‘নিয়ন’ (৩৫) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের মোকলেছার রহমানের ছেলে। বুধবার সকাল ৯ টার দিকে নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিয়নকে কেচি দ্বারা আঘাত করে একই গ্রামের ইছাহক আলী ও তার বড় ছেলে আসমাউল হক ওরফে হুমায়ন(২৬) এবং ছোট ছেলে স্বাধীন হোসেন (২৪)। পুলিশ ইছাহাক আলীর স্ত্রী খুরশিদা বেগম ও ছেলে স্বাধীনকে আটক
করলেও ইছাহক ও বড় ছেলে আসমাউল হক (হুমায়ন) পলাতক রয়েছে।
সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, ২২ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ৬টায় পূর্ব বিরোধের জেরে একই গ্রামের ইছাহক আলী ও তার ছেলেরা তাদের বাড়ির সামনে নিয়নের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা নিয়নের তলপেটে কেচি দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বোন ইসমত আরা বলেন, ৫ বছর আগে আমার ভাই ৯০ হাজার টাকা দিয়ে ইছাহক আলীর জমি বন্ধক নেন এবং চাষাবাদ করে আসছে। কিছুদিন হলো সেই জমি বিক্রয় করবে মর্মে আমার ভাইকে প্রস্তাব দিলে আমার ভাই জমিটি কিনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বন্ধকের টাকা ফেরত চায়। সেই টাকা ফেরত নিয়ে ইছাহক ও তার ছেলেদের সাথে বিরোধ চলছিল। আজকে তারা আমার ভাইকে ডেকে নিয়ে মারধর করে কেচি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রতিবেশী মন্জু বেগম বলেন, ইছাহকের বড় ছেলে হুমায়ন কেচি দিয়ে নিয়নের তলপেটে কেচি দিয়ে আঘাত করেছে।
মহাদেবপুর সার্কেল এটিএম মাইনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বদলগাছী থানার ওসি (তদন্ত) রায়হান হোসেন জানান, জমি বন্ধকের টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় মেহেদী হাসান (নিয়ন) নিহত হয়েছেন। নিহতের বাবা মোকলেছার রহমান বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় খুরশিদা বেগম ও স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।#