মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
প্রায় বিলুপ্তির পথে পরিবেশ বান্ধব গরুর হালচাষ। কাঁধে লাঙ্গল-জোয়াল, মই, হাতে গরুর দড়ি। সূর্য উঠার আগেই জমি চাষের জন্য মাঠে কৃষকের দৌড়াদৌড়ি। সকালে জমির আইলে বসে গৃহিনীর পাঠানো সাজানো খাবার খাওয়া। এগুলো ছিল গ্রামাঞ্চলের মাঠের নিত্য-নৈমেন্তিক দৃশ্য। কিন্তু আধুনিক কৃষিযন্ত্রের যাতাকলে আজ তা প্রায় হারিয়ে গেছে। কাঠের লাঙ্গল-জোয়ালে গরুর হালের দেখতে পাওয়া দুস্কর। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় এক সময়ে কৃষকদের জমি চাষে একমাত্র নির্ভরশীল গরুর হাল চাষ এখন বিলুপ্তির পথে। প্রতিটি বাড়ি বাড়ি হাল চাষের জন্য একাধিক জোড়া হালের বলদ, লাঙ্গল, জোয়াল ও মইসহ হালচাষের সরঞ্জাম যেন বাড়ির একটি মানান ছিল। যার বাড়িতে যত বেশি ঐসব সরঞ্জাম থাকতো, এলাকা জুড়ে তার পরিচিতি থাকতো তত বেশি। এতে করে শোভা পেত তার বাড়ির গোয়ালঘর। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় আর খুব একটা চোখে পড়ে না হালের বলদ, লাঙ্গল, জোয়াল। সবকিছুই এখন বিলুপ্তি হতে চলেছে। সময় ও অর্থের সাশ্রয় এবং ঝামেলামুক্ত থাকতেই যেন লোকজন এখন গরুর হালের পরিবর্তে মাঠে মাঠে নামিয়েছে ছোট-বড় পাওয়ার ট্রিলারের যান্ত্রিক আধুনিক হালচাষ।
গরুর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, কাজেরলোকদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, গৃহস্থরা আর চায় না অতিরিক্ত অর্থ ও সময় ব্যয় করতে। সময় ও অর্থ বাঁচাতে অর্থবিত্ত গৃহস্থরা ক্রয় করেছে পাওয়ার ট্রিলার এবং তারা নিজেদের হালচাষের পাশাপাশি অন্য কৃষকদের অর্থের মাধ্যমে হালচাষ করে দিচ্ছে। এতে করে গরু দিয়ে হালচাষের প্রবণতা বিলুপ্তি পথে ।