মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার মান্দায় আগুনে পুড়ে গেছে তুলার তিনটি গুদাম। মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা সদর সংলগ্ন বড়পই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে আয়নাল হকের দুটি ও মোবারক হোসেনের একটি গুদাম পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, এতে তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হঠাৎ করেই ঝুট তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে তা পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়ে মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি ইউনিট রাত ১টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কীভাবে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেননি।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত তুলা ব্যবসায়ী আয়নাল হকের স্ত্রী মোর্শেদা খাতুন বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজেই কারখানা ঘুরে সবকিছু ঠিকঠাক দেখে যান। রাত ১০টার দিকে মোবাইল ফোনে আগুনের বিষয়ে জানতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আগুনে তার গুদামে থাকা বিভিন্ন দামের ২৫০ মণ তৈরি তুলাসহ অন্তত ৪০ টন ঝুট পুড়ে গেছে।অপর ব্যবসায়ী জানান, আগুনে তার ১০০ মণ তৈরি তুলা ও ২৪ টন ঝুট পুড়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে তুলা তৈরির কারাখানা বন্ধ থাকে। এজন্য কারখানার মেইন সুইস বন্ধ করে দেওয়া ছিল। এরপরও কীভাবে গুদামে আগুন ধরে যায় এ বিষয়ে তারা কিছুই জানাতে পারেননি
এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, কারখানা বন্ধের পর রাতে এলাকাটি নির্জন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। মাদকসেবীরা কোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা।
মান্দা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ লিডার শফিউর রহমান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের আগে কারখানায় থাকা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারটি বিস্ফোরিত হয়। এ থেকে গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে আট লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন হয়ে থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।