মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানাটি উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের বাসবাড়িয়া গ্রামের পাশে অবস্থিত। ব্যাটারির এ্যাসিডের প্রকট গন্ধে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় অনুমোদনহীন কারখানায় পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে আশপাশের গ্রামের পরিবেশে চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়রা রাস্তায় প্রতিবাদ না করলেও তাদের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। গাইবান্ধার আব্দুল হাদী ও আবাদপুকুর এলাকার ভাই ভাই সাইকেল স্টোরের মালিক শাহীনুল ইসলাম যৌথভাবে অবৈধ কারখানাটি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চারপাশে টিনের তৈরি বেড়া ও টিন দিয়ে তৈরি ঘরের মধ্যে সাইনবোর্ডবিহীন একটি অবৈধ কারখানা স্থাপন করে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ পুরোনো ব্যাটারির ওপরের অংশ খুলে প্লেট (ব্যাটারির ভেতরের পাত) বের করছেন। কেউ ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে সংরক্ষণ করছেন।
কারখানার ব্যবস্থাপক আঃহাদী বলেন, কাগজপত্র সম্পর্কে আমি কিছুই বলতে পারব না। এসব কিছু মালিকই বলতে পারবেন। এদিকে কারখানার মালিক শাহীনুল জানান, ‘পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র বা কোনো দপ্তর থেকেই অনুমোদন নেওয়া নেই। সারা দেশে এভাবেই এই কারখানাগুলো চলছে। তবে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
এলাকাবাসি বলেন,অবৈধ এই কারখানাটি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় চলছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্তও করায়নি কারখানার মালিক। কিছু বললেই ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যান তারা। এতে এলাকার মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারীর পরিচালক মোঃমকবুল হোসেন বলেন,নওগাঁ জেলায় ১১টি উপজেলা সকল বিষয় আমাদের নজরে থাকেনা আর ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম আগামীতে অভিযান পরিচালনা করবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির বিষয়টি আমি জানতাম না। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে মিলিতভাবে অভিযান পরিচালনা করবো।