মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলায় প্রবাস ফেরত এক গৃহবধূকে স্বামী ও সতিন মিলে এ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন শিশুও আহত হয়েছে।
১৬সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় স্বামী ওসমান ও তার বড় স্ত্রী নারগিস পারভীন পালানোর চেষ্টা করলে গ্রামবাসী তাদের আটক করে পুলিশে দিয়েছে। আহত গৃহবধূ পাতাশি (৩৫) নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, আতাইকুলা মধ্যপাড়া গ্রামের মজনু সরদারের মেয়ে সৌদি প্রবাসী পাতাশির সঙ্গে গত তিন বছর আগে পাশের আত্রাই উপজেলার আন্ধারকোটা গ্রামের করিম প্রামাণিকের ছেলে ওসমানের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর বড় সতিনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাতাশি বেগম সৌদি আরবে চলে যান।তবে স্বামী ওসমানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল এবং তার নামে বেশকিছু টাকা-পয়সা পাঠায়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর পাতাশি বাবার বাড়ি আতাইকুলা গ্রামে আসে। এমন খবর পেয়ে ওসমান মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাতাশির বাবার বাড়িতে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানের বড় স্ত্রী নারগিস পারভীনও আতাইকুলা গ্রামে পাতাশির বাবার বাড়িতে আসে।
সেখানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে নারগিস তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটি বোতল বের করে পাতাশির মুখমণ্ডলে ছুড়ে মারে। এতে পাতাশির মাথা, মুখমণ্ডল, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্নর অংশ ঝলসে যায়।
এসময় প্রতিবেশী সাগরের মেয়ে খাদিজা আক্তার(৭), ইন্তাজ আলীর মেয়ে রিতা আক্তার (১৩) ও আজিজুর রহমানের ছেলে আকাশ হোসেন (৮) আহত হয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওসমান ও নারগিস পারভীন পালানোর চেষ্টা করে।পরে গ্রামবাসী তাদের আটক করে পুলিশে দেয়।
আহতদের প্রথমে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে পাতাশির অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রানীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারিকুল ইসলাম বলেন, অ্যাসিড নিক্ষেপ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।