মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর সাপাহারে গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে অর্ধশত কৃষক স্বাক্ষরিত পৃথক দুইটি অভিযোগ উপজেলা বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী বরাবর দাখিল করেছে।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে উপজেলার সুন্দরইল মৌজাস্থ একটি এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর ও গৌরীপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন এবং গভীর নলকূপ অপারেটর ও সুন্দরইল গ্রামের মৃত ওয়াজ মোহাম্মদের ছেলে আব্দুস সাত্তার এর পরিবর্তে দায়িত্বরত অপারেটর মোকতার হোসেন ও একই গ্রামের মৃত গমির মন্ডলের ছেলে মোঃ তসলিম উদ্দীনকে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ সাধারণ কৃষকদের/গ্রহকদের জিম্মি করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে।
এ বিষয়ে উপজেলার সুন্দরইল গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষকের সাথে কথা হলে তারা জানান, এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর গৌরীপুর ফারুক হোসেন অপারেটর হস্তান্তর করার কথা বলে কৃষকদের কাছে থেকে অফিস খরচ নাম ভাঙ্গিয়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও প্রতিবছর পানি সেচ দেওয়ার আগে প্রত্যক কৃষকের কাছে থেকে বিঘাপ্রতি ৭ শত টাকা অগ্রিম দিতে হয়। উক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের হয়রানি করা হয়। টাকা না দিলে ওই কৃষকের জমিতে সেচের পানি দেওয়া বন্ধ করে দেয় অপারেটর বলে অভিযোগ করে কৃষকেরা। অপরদিকে একই মৌজাস্থ আরও দুটি গভীর নলকূপের অপারেটর মোকতার হোসেন ও তসলিম মন্ডলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করে ওই গ্রামের কৃষকরা। কৃষকরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে সেচের পানি নিয়ে ফসল চাষাবাদ করে আসছি আমরা। এতে করে উৎপাদত খরচ বেশী হওয়ায় ফসল চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় পরিবর্তে ক্ষতির মূখে পরতে হচ্ছে। অপারেটরদের অতিরিক্ত টাকা দিলে সেচের পানি মিলে না দিলে চাষাবাদ বন্ধ রাখতে হয়। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার হয়রানি করে আসছে তিন অপারেটর। কৃষকদের দাবী কৃষকদের ভোগান্তি দূর করতে হলে অভিযুক্ত তিনজন অপারেটর পরিবর্তন করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হোক সেই সাথে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে ওই এলাকার কৃষকেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অতিরিক্ত অর্থ না পাওয়ায় সেচ ঘরে তালা লাগিয়ে রেখে অপারেটররা। যার ফলে অধিকাং জমিতে এখনো সেচের পানি দেওয়া হয়নি। এতে করে প্রায় সাড়ে ৩ শ’ বিঘা জামিতে ধান চাষ নিয়ে চিন্তিত ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কৃষকরা।
এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গভীর নলকূপ অপারেটর তসলিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার গভীর নলকূপের পানি দিয়ে গ্রামে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা আছে মাত্র দেড় শত বিঘা জমি আমার আবাদ হয় আমি উক্ত দেড় শত বিঘা জমির কৃষকের নিকট হইতে অতিরিক্ত তিনশত টাকা নিয়ে থাকি আর এটা নেওয়ার কারণ অন্যান্য গভীর নলকূপের অপারেটররা নেয় বলে আমিও নেই।
গভীর নলকূপের অপারেটর মোকতার হোসেনেরর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, টাকা যেগুলো বেশি নেওয়া হয় সেগুলো ইঞ্জিন বিকল্প হলে তা মেরামত করা হয় আর বি এম ডিএর সাব ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমকে দিতাম।
এ বিষয়ে বিএমডিএ’র সহকারি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি আবেদন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এর নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।