27.3 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
Homeঅভিযোগনওগাঁয় জামাইয়ের বিরুদ্ধে চাচি শ্বাশুড়িকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

নওগাঁয় জামাইয়ের বিরুদ্ধে চাচি শ্বাশুড়িকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ

নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুরে জামাইয়ের বিরুদ্ধে চাচি শাশুড়ীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মহিষকুড়ি গ্রামে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানায় ভুক্তভোগী শাশুড়ী বাদী হয়ে জামাই মুকুল ও তার আপন শ্বশুর মজিদুল ইসলামকে আসামী করে গতকাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ধর্ষণ চেষ্টাকারী আসামী জামাই মুকুল হোসেন রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার রংপুর গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মহিষকুড়ি গ্রামের মজিদুল ইসলামের জামাই মুকুল হোসেন (৩৫) তার আপন চাচি শাশুড়ীর ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করা অবস্থায় হাতেনাতে চাচা শ্বশুরের কাছে ধরা পড়ে।

ভুক্তভোগী শ্বাশুড়ি জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৭টায় আমার ভাতিজি জামাই মুকুল আমাকে ফোন করে বলে যে,চাচা বাড়ী আছে কীনা?আমি বলি নাই।
কিছুক্ষন পর জামাই মুকুল আমার বাড়ীতে চলে আসে। এসে আবার বলে চাচা বাড়ী নাই? এবং আমার নিকট ১০০ টাকা ধার চায়। আমি বললাম, আমি তো আগেই বলেছি তোমার চাচা বাড়ী নাই,এ কথা বলে আমি তাকে ঘরে খাটের পাশে রাখা চেয়ারে বসতে বলে খাটের বিছানার নিচ থেকে টাকা নিতে গেলে জামাই মুুকুল আমাকে পিছন থেকে ঝাপটে ধরে জোর করে খাটের উপর বিছানায় ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

আমি কোন রকমে নিজে রক্ষার চেষ্টা করি। এ সময় আমার স্বামী বাড়ী চলে আসে এবং জামাইকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, আমি বাড়ী এসে দেখতে পাই যে,জামাই আমার স্ত্রীর সাথে বিছানায় ধস্তাধস্তি করছে। আমি সাথে সাথে জামাইকে ধরে প্রতিবেশীদের ডেকে আনি। আমার ভাইকেও ডেকে আনি।

আমার ভাই সকালে এই কু-কর্মের বিচারের কথা বলে জামাইকে বাড়ী নিয়ে যায়। কিন্তু ভাই সকাল হওয়ার আগেই রাতেই জামাইকে তার নিজ বাড়ীতে গোপনে পাঠিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগীর জা জহুরা বেগম বলেন, ঘটনা সত্যি। আমি নিজে এসে জামাইকে ঐ বাড়ীতে দেখেছি।

চাচা ইউসুফ বলেন, সকালে বিচারের কথা বলে শ্বশুড় মজিদুল জামাই মুকুলকে বাড়ী নিয়ে গিয়ে সরিয়ে ফেলে। এখন বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করছে।

উক্ত গ্রামের মাতব্বর দবির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি ঘটার পর আমরা গ্রামবাসী সমাধানের জন্য বসি। মজিদুল বিচারে জামাইকে হাজির করবে বলে কথা দিয়েছিল। কিন্তু সে হাজির করেনি। উল্টো আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

ভুক্তভোগীরা আরো জানান যে,বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদকে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধানের জন্য আজকাল করে করে অনেকদিন গড়িয়ে গেছে।

অভিযুক্ত জামাই মুকুল হোসেনের আপন শ্বাশুড়ী তাসকিয়া পারভীন বলেন, ঘটনাটি সত্যি,নাকি মিথ্যা কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে সেদিন সে সময় জামাই আমাদের বাড়ীতেই ছিলো। মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার জন্য এই সব রটাচ্ছে।

এ বিষয়ে থানার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার উপ-পরিদর্শন (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, আমি তদন্ত করে রির্পোট করেছি। তদন্তে স্বাক্ষী প্রমাণে যারা স্বাক্ষী তারা বলেছে আমরা দেখি নাই,তবে শুনেছি যে জামাই শাশুড়ীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।

১৭ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার বিকেলে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ন কবির বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।জামাই শ্বাশুড়ির বিষয়টি একটি অন্য রকম ব্যপার। ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনা সত্য হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা

Most Popular

Recent Comments