মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নও
নওগাঁয় দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় প্রথম স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সোলেমান সরদার ওরুফে মুনি (৬০) নামের সাবেক এক ইউপি মেম্বারের বিরুদ্ধে।
৯ জুলাই,শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী মালেকা বেগম (৫০)। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী।
গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সরল শিকারপুর গ্রামে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মালেকা বেগম সদর উপজেলার গুমারদহ সাহানাপাড়ার মৃত আব্বাস আলী সাহানার মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোলেমান সরদার ওরুফে মুনি গোপনে এক নারীকে বিয়ে করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি নিয়ে আসেন। এরপর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মালেকা বেগমের কাছে দ্বিতীয় স্ত্রীকে বাড়িতে ওঠানোর জন্য সম্মতি চান। কিন্তু মালেকা বেগম এতে সম্মতি না দিয়ে প্রতিবাদ করেন।
এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে মালেকা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যান মুনি। পরে মালেকা বেগমের চিৎকারে তার পরিবারের অন্য সদস্য ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে মারা যান মালেকা বেগম।
নিহত মালেকা বেগমের দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। ছেলে মামুন হোসেন দেশের বাইরে থাকেন। আর দুই মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সংসার করছেন।
নিহত মালেকা বেগমের চাচাতো ভাই হাজের সাহানা বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে আমার বোনজামাই মুনি পলাতক। তার ফোনটি বন্ধ আছে।
নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিয়ে হোক বা না হোক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।