20.5 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
Homeনওগাঁনওগাঁয় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার সম্প্রদায়ের লোকজন

নওগাঁয় ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার সম্প্রদায়ের লোকজন


মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁয় পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে করোনা মহামারীর মধ্যেও ব্যস্ততাময় সময় পার করে চলেছেন নওগাঁ জেলার কামার সম্প্রদায়ের লোকজন। তাহারা দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যাস্ত। এসব সরঞ্জাম নতুনভাবে তৈরি এবং পুরনোগুলোতে শান দিতে খুব ব্যস্ত হয়ে উঠেছে কারিগররা। ঈদের দিন পর্যন্ত চলবে এমন ব্যস্ততা বলে জানিয়েছেন কামার সম্প্রদায়ের লোকজন। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হয় না বলে জানিয়েছেন তারা। কিন্তু পূর্ব পুরুষের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে তারা আজ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।

নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি তৈরি এবং পুরোনো ছুরি,দা শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন কামাররা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করছেন তারা। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের জিনিসপত্রের তৈরীও কেনা-বেচা বেড়ে যায়।

এ থেকে অর্জিত টাকায় সারা বছরের খোরাক জোগাড় করেন তাঁরা। অথচ বছরের বেশির ভাগ সময়েই কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা এক প্রকার বেকার সময় কাটান। প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে কামারদের ভালো ব্যবসা হয় বলেও জানান তাঁরা।
তবে কয়েকজন কামারের মধ্যে রামবাবু জানিয়েছেন, আগে লোকজন একক ভাবে পশু কোরবানি দিতো কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন কয়েকজনে ভাগে দিচ্ছে। ফলে এসব কাজ গত ২-৩ বছরের তুলনায় অনেক কম হচ্ছে।
মজুরীর বিষয়ে জানতে চাইলে কামাররা বলেন বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া ১৫০ টাকা। বড় ছুরি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা।পত্নীতলা থানাধীন কাটাবাড়ী এলাকার ক্রেতা মোঃ লোকমান হোসেন জানান পশু কোরবানি করে মাংস কাটতে প্রয়োজন হয় চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এসব জিনিসের দাম এ বছর কিছুটা বেশি।

নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, চাপাতি, দা, বটি, চাকু, ছুরি তৈরি এবং পুরোনো ছুরি,দা শান দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামররা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করছেন তারা। প্রতিবছর কোরবানির ঈদে তাদের জিনিসপত্রের কেনা-বেচা বেড়ে যায়।

এ থেকে অর্জিত টাকায় সারা বছরের খোরাক জোগাড় করেন। অথচ বছরের বেশির ভাগ সময়েই কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা এক প্রকার বেকার সময় কাটান। প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে কামারদের ভালো ব্যবসা হয়।

তবে কয়েকজন কামার জানিয়েছেন আগে লোকজন একক ভাবে পশু কোরবানি দিত এখন কয়েকজনে ভাগ করে দিচ্ছে। ফলে এসব কাজ গত বছরের তুলনায় অনেক কম হচ্ছে।
দামের বিষয়ে কামাররা জানিয়েছেন বর্তমানে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। বড় ছুড়ি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা। বটি তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১৫০-২৫০ টাকা।

বদলগাছী উপজেলার মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন পশু কোরবানি করে মাংস কাটতে প্রয়োজন হয় চাকু ও ছুরির। সে কারণে বাজারে এসেছি দা, বটি ও ছুরি কিনতে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এসব জিনিসের দাম এ বছর কিছুটা বেশি।

কামার শিল্পের কারিগরা জনান, সারা বছরই আমরা দা, বটি, চাকু, ছুরি তৈরি করে বিক্রি করি। কিন্তু কোরবানির মৌসুমেই এসব সরঞ্জামের কেনা- চাহিদা বেশি থাকে। এবার চাহিদার তুলনায় কম বিক্রি হওয়ায় এ পেশার সাথে জড়িতরা দুর্দিনে আছে।

Most Popular

Recent Comments