মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁর সাপাহারে কোচকুড়িলা গ্রামে মাঝরাতে একই গ্রামের কৃষকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে গরু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় চোরের সারা শরীরে পুলিশ কাদা মাখা দেখতে পায়।পুলিশকে দেখে গরু ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে আবার নিজ গ্রামে ফিরে আসতে থাকে যুবক। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাসরিফ হোসেন নামে ওই যুবকের।
এদিকে গরু চুরির কথা গরুর মালিক টের পেয়ে এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তাসরিফ হোসেনের সারা শরীর কর্দমাক্ত হওয়ায় তাকে চোর সন্দেহ হলে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয়রা।
এরপর তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এমন ঘটনা ঘটেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কোচকুড়িলিয়া গ্রামে।
আটক তাসরিফ হোসেন একই গ্রামের আজিরউদ্দীন চৌধুরীর ছেলে।
সাপাহার থানার ওসি তারেকুর রহমান সরকার বলেন, উপজেলার কোচকুড়িলিয়া গ্রামের খয়বর আলীর ছেলে মমতাজ উদ্দিন তার গোয়াল ঘরে তিনটি গরু রেখে দরজা বন্ধ করে রাখেন। মমতাজের ছেলে ১৬ আগস্ট,সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বাড়ি ফিরে গোয়াল ঘরের দরজার চাটাই সরানো দেখতে পান। পরে গোয়াল ঘরে একটি গরু না থাকায় স্থানীয় লোকজনকে ডেকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
এক পর্যায়ে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মোড় তাসরিফকে কর্দমাক্ত অবস্থায় দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
এসময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গরু চুরির বিষয়টি স্বীকার করে। তাসরিফ তাদের জানায় সরাইগাছী গরু নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ দেখে গরু ছেড়ে পালিয়ে এসেছে।
তিনি জানান, তাসরিফের দেওয়া তথ্য মতে ভিকনা মোড়ে খোঁজ করার সময় চেকপোস্টে অবস্থানরত পুলিশের নিকট স্থানীয়রা ওই গরুটি পায়।
মমতাজ উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে সাপাহার থানায় তাসরিফের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।