মুজাহিদ হোসেন, জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ
নওগাঁ সদর উপজেলার মৃধাপাড়া চক-এলাম মহল্লার নবম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা ছাত্রীকে ধর্ষণ ও ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগে এক বিবাহিত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।আটকৃত যুবক একই এলাকার মোঃ সাজেদুর রহমানের ছেলে আব্দুল মুমিন (২৩) বলে জানা গেছে।
উক্ত ছাত্রী সমাজের চক্ষু লজ্জার ভয়ে পেটে বাচ্চা আসার কথা গোপন করে নিজের বাড়িতে ২/৩ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের তথ্য মতে জানা যায়, একই গ্রামের মো. সাজেদুর রহমানের বিবাহিত ছেলে আব্দুল মোমিন তার প্রতিবেশী সেন্ট্রাল গালর্স উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই স্কুল ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর,বুধবার ঐ স্কুলছাত্রী বিয়ের দাবি নিয়ে ওই ধর্ষকের বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান করলে ধর্ষক বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং ধর্ষিতাকে মারপিট করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে ধর্ষিতা মেয়েসহ তার পরিবার নওগাঁ সদর থানায় এসে তদন্ত ওসিকে মৌখিক অভিযোগ করলে ধর্ষক আব্দুল মোমিন (২৩) কে তার নিজ বাসা থেকে আটক করে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ।
ধর্ষিতা ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় করা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। আমরা গরীব মানুষ। আমাদের সাথে এ অন্যায় ওপর আলা সহ্য করবে না। আমি সঠিক বিচারের জন্য আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই জান্নাতুন ফেরদৌসী বলেন, মামলার আসামীকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি(তদন্ত) মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতা মেয়েসহ তার পরিবার গতকাল বুধবার বিকেলে থানায় এসে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। এ সময় আমি বাহিরের কাজ শেষে থানায় প্রবেশের পথে মেইন গেটে তাদের সাথে কথা বলি এবং থানার ভিতরে নিয়ে গিয়ে সমস্থ কথা শুনে সাথে সাথে ধর্ষকের বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে আমরা আটক করতে সমর্থ হই।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার একজনকে আসামী করে নওগাঁ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় প্রধান আসামী ধর্ষক মুমিনকে আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।