শেকৃবি প্রতিনিধি:
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটকে শেকৃবি কৃষি অর্থনীতি ছাত্র সমিতি কর্তৃক একটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় তারা বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির (২০২৫-২০২৬) কার্যনির্বাহী কমিটির সমালোচনা করেন এবং বলেন নবনির্বাচিত এই কমিটি বৈষম্যমূলক। উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শেকৃবি কৃষি অর্থনীতি ছাত্র সমিতির সভাপতি এম. এম হামিদুর রহমান হিমেল ও সাধারণ সম্পাদনক ইফতেখারুল ইসলাম নিলয় সহ কৃষি অর্থনীতির ছাত্রছাত্রীবৃন্দ
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, নবনির্বাচিত কমিটির সিংহভাগ সদস্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া হয়েছে, অনেক বেশি যোগ্য হওয়ার পরেও শেকৃবির গ্রানুয়েটরা বাদ পড়েছেন, কমিটিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সুবিধাভোগী অনেকেই আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। এছাড়া সংবিধান বহির্ভূতভাবে প্রফেসর গোলাম হাফিজ কেনেডিকে মহাসচিব করা হয়েছে, তিনি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য তাই সংবিধান অনুযায়ী তার মহাসচিব পদে থাকার কথা না।
এ প্রসঙ্গে শেকৃবি কৃষি অর্থনীতি ছাত্র সমিতির সভাপতি এম. এম. হামিদুর রহমান হিমেল বলেন, “নতুন কমিটিতে গাজীপুর ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৪-৫ জন অন্তর্ভুক্ত হলেও শেকৃবি থেকে মাত্র দুজন স্থান পেয়েছেন। অথচ কৃষি বিপণন ক্যাডার বাস্তবায়নে শেকৃবির শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এটি আমাদের প্রতি সুস্পষ্ট বৈষম্যের প্রতিফলন। আমরা এমন কমিটি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।”
সাধারণ সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম নিলয় বলেন, “গত বছর ৪৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি থাকলেও এবার সদস্য সংখ্যা ৬৩-তে উন্নীত করা হয়েছে। তবুও শেকৃবি গ্রাজুয়েটদের যথাযথ স্থান দেওয়া হয়নি। এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের বঞ্চিত করার একটি ষড়যন্ত্র। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের দাবি জানাচ্ছি।”
শিক্ষার্থীরা নবগঠিত কমিটির প্রতি অসহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে এবং দ্রুত সবার স্বার্থকে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করে এমন একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি উপেক্ষিত হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ছাত্র সমিতি।