মহিপুর থানা প্রতিনিধি :
পথ হারানো কিশোরী মোসাঃ জান্নাতুল (১৫)’কে উদ্ধার পূর্বক পরিবারের কাছে পৌঁছে দিল মহিপুর থানা পুলিশ।
গত সোমবার বরগুনার আঙ্গারপাড়ার বাদল মৃধার কন্যা মোসাঃ জান্নাতুল (১৫) বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে কুয়াকাটা সমূদ্র সৈকতে এক অপরিচিত ছেলের মোবাইল ফোনালাপের আশ্বাসে ঘুরতে আসে।কিন্তু ছেলেটি তার সাথে দেখা করেনি।
তখন কিশোরী মহিপুর বাজার এলাকায় একা চিন্তিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে। স্থানীয় লোকজন মারফত অফিসার ইনচার্জ খবর পেয়ে শিশুটিকে যত্ন করে থানায় নিয়ে আসার জন্য এসআই মোঃ জহিরুল ইসলামকে পাঠালে তিনি শিশুটিকে থানায় নিয়ে এসে থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কে নিরাপদে রাখেন।
অপরদিকে শিশুটির পরিবারের লোকজন তার কিশোরী কন্যাকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি না যাওয়ায় চিন্তিত হয়ে আত্মীয় স্বজনের বাড়ি সহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে কোন সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
এরই মধ্যে শিশুটির বাবা মোঃ বাদল মৃধা এর ব্যবহৃত ফোনে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের মহোদয় কল করে জানান যে, তাদের পরম আদরের মেয়ে মহিপুর থানার নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ডেস্কে মহিলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে আছেন।
তাকে থানায় এসে নিজেদের দায়িত্বে নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের ফোন কলে ভিকটিম মোসাঃ জান্নাতুল (১৫) এর পরিবার পাহাড় সমান দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পান। পথহারা শিশু মোসাঃ জান্নাতুল (১৫) এর বাবা মোঃ বাদল মৃধা থানায় এসে তার মেয়েকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তার মেয়েকে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে ফিরে পেয়ে উদ্ধারকারী অফিসার এসআই (নিঃ) মোঃ জহিরুল ইসলাম সহ মহিপুর থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার মোঃ আবুল খায়ের মহোদয় ভিকটিমকে তার বাবার জিম্মায় প্রদানকালীন সময়ে সন্তানদের কাজের ফাঁকে সময় দেওয়া, বন্ধু সুলভ আচারন করার জন্য অনুরোধ করেন।