21.1 C
Bangladesh
Sunday, November 24, 2024
spot_imgspot_img
Homeঝালকাঠিপর্যটনে সম্ভাবনা রাজাপুর সেতুতে

পর্যটনে সম্ভাবনা রাজাপুর সেতুতে

আকাশ আহমেদ:: কুলাউড়ার মনু নদীতে প্রায় শতকোটি টাকায় নির্মাণাধীন রাজাপুর সেতু দেখতে দলে দলে ছুটছেন দর্শনার্থী। উপজেলার সীমান্তবর্তী পৃথিমপাশা-হাজীপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকায় নির্মিত ‘স্বপ্নের’ রাজাপুর সেতুর প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ বর্তমানে দৃশ্যমান। রাজাপুর সেতু নির্মিত হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার যেমন উন্নতি হবে, তেমনি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হচ্ছে দিন দিন। পর্যটনশিল্পের বিকাশে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

২০১৮ সালের নভেম্বরে রাজাপুর সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন হুইপ বর্তমান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং মৌলভীবাজার-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্বা মো. আব্দুল মতিন।

২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি সেতু ও ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা, যার পুরোটাই সরকার ব্যয় করবে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। সেতুর কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ সমাপ্ত হলেও করোনা সংকটের কারণে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। সেতুর অভাবে শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নের লোকজনকে উপজেলা সদরে আসতে হলে এতদিন অতিরিক্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এই এলাকার লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগের অবসান হবে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মৌলভীবাজার) নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জানান, রাজাপুর সেতুর কাজ অল্প কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। এতে এলাকার জনসাধারণের দুর্ভোগের অবসান হবে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৬০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৩৩.৭ ফুট। সেতুতে রাস্তা ২৪ ফুট, উভয় পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট পায়ে চলার রাস্তা। এ সেতুতে ২৫টি গার্ডার রয়েছে। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ সেতুতে ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার নতুন সড়কসহ প্রকল্পে মোট নির্মাণ ব্যয় হচ্ছে প্রায় শতকোটি টাকা। নতুন সংযুক্ত সাড়ে সাত কিলোমিটার সড়কের কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হবে।

মৌলভীবাজার সড়ক বিভাগের বাস্তবায়নাধীন কুলাউড়া উপজেলা সদর থেকে পৃথিমপাশা-হাজীপুর হয়ে শরিফপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাতলাপুর স্থলবন্দর সড়কের মধ্যবর্তী ১৪তম কিলোমিটার দূরত্বে মনু নদীতে রাজাপুর পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের ৯৫ ভাগ দৃশ্যমান হয়েছে। শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাজাপুর সেতু ও ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযুক্ত সড়ক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। চলমান রাজাপুর সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সীমান্তবর্তী হাজীপুর, শরীফপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে।

Most Popular

Recent Comments