15.3 C
Bangladesh
Saturday, December 21, 2024
spot_imgspot_img
Homeমানবতাপিতামাতার স্নেহ বঞ্চিত অনাথ শিশুদের মুখে নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ...

পিতামাতার স্নেহ বঞ্চিত অনাথ শিশুদের মুখে নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাইমুল হক।

শফিকুল ইসলাম(এমএ)
স্টাফ রিপোর্টারঃ-

সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক কর্মকর্তা। যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় দেশের অসহায় মানুষ খুব কষ্টে দিনযাপন করেছেন। সবাই যে যার মতো চেষ্টা করেছেন অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার। কিন্তু বর্তমানে সবচেয়ে বেশি মানবিক ও পেশাদার কাজগুলো করছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশের মানবিক কার্যক্রমে সর্বমহলে প্রশংসা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বরিশালে এরকম একজন মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নাইমুল হক। করোনা মহামারী মোকাবেলায় পেশাদারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রমে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। সংকটময় এই সময়ে মানুষের প্রতি মানুষের মানবিক হওয়াই মনুষ্যত্বের সবচেয়ে বড় পরিচয়।
সবাই সবার পাশে থেকেই এই দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইজিপি ড.বেনজীর আহমেদ, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং বরিশাল পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলামের নিদের্শনায় দায়িত্ব পালন করছেন মানবিক পুলিশ অফিসার মোঃ নাঈমুল হক।

বরিশাল বিভাগীয় বেবি হোমসের পিতৃ মাতৃস্নেহ বঞ্চিত, অধিকার বঞ্চিত শিশু যাদের বয়স এক মাস থেকে দশ বছর পর্যন্ত তাদের সাথে তিনি এবং তার পরিবার অসাধারণ এক আনন্দময় সময় কাটান। ছোট্ট শিশুদের বুকে জড়িয়ে স্নেহ মমতায় কোলে তুলে নিয়ে পুরো পরিবেশটা যেনো মুহূর্তের মধ্যে সুখময় করে তোলেন। মানবিক পুলিশ সুপার এবং তার স্ত্রী কাছ থেকে স্নেহ বঞ্চিত শিশুরা পেলো পিতা মাতার স্নেহ। বেবি হোমসের শিশুদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে উপহার হিসেবে নিয়ে যান বিভিন্ন ধরনের খেলনা, চকলেট, জামা, ফল, পোলাউ চাল, দেশী মুরগী, ডিম। সব শেষে কেক কেটে সবাইকে নিয়ে শিশুদের জন্মদিন পালন করেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নাইমুল হক বলেন, এখন সময় এসেছে মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাড়ানোর। সবাই সবার স্থান থেকে মানবিক হওয়া উচিত। শিশুরা স্বর্গীয় ! যেখানেই থাকুক না কেন। শিশুসঙ্গ সবসময় অপার আনন্দ দেয় আমাদের। বরিশাল বিভাগীয় বেবি হোমসের পিতৃ মাতৃস্নেহ বঞ্চিত, অধিকার বঞ্চিত শিশুদের সাথে আমি এবং আমার পরিবার এক অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। অবহেলা এবং অবাঞ্ছিত ভাবে পড়ে থাকা এসব শিশুদের সমাজের বিভিন্ন স্থান থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা তুলে এনে এখানে রাখা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পরিচর্যায় এই বেবি হোমস ই হয় তাদের নতুন ঠিকানা। গান গল্প-আড্ডা খেলা কেক কাটা উপহার সত্যিই চমৎকার এক মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য। করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় আমাদের জন জীবন যেখানে বন্দি হয়ে পড়েছিল শিশুদের সাথে কাটানো সময়টুকু আমাদের সবার জন্য মুক্তির বার্তা বয়ে এনেছিল। বহুদিন মনে রাখার মত একটি কোয়ালিটি টাইম কাটিয়েছি আমরা। ধন্যবাদ আমার অর্ধাঙ্গিনী কে এরকম একটি সময় আমাকে উপহার দেওয়ার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ নাঈমুল হক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এর মিসেস, মোঃ আফজাল হোসেন অফিসার ইনচার্জ আগৈলঝাড়া থানা, মোঃ মাজহারুল ইসলাম ওসি তদন্ত আগৈলঝাড়া থানা, এইচ এম মাসুম হোসেন সভাপতি উপজেলা প্রেসক্লাব আগৈলঝাড়া, বি এম মনির হোসেন সাধারণ সম্পাদক উপজেলা প্রেসক্লাব আগৈলঝাড়া, মোঃ ফরিদ উদ্দিন এবং আগৈলঝাড়া থানার অন্যান সদস্য গন।

Most Popular

Recent Comments