মো: ফেরদৌস মোল্লাহ
পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
পিরোজপুর-২ ভাণ্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ আসনে কোনও অপ্রীকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে । এ আসনে ১৬৯টি ভোট কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে সাতবারের সাংসদ জোট প্রার্থী( নৌকা প্রতীক) জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মনঞ্জুকে পরাজিত করে তারই এক সময়ের শিষ্য বলে খ্যাত স্বস্তন্ত্র প্রার্থী(ঈগল প্রতীক) মহিউদ্দিন মহারাজ বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী ঈগল প্রতীকে মহিউদ্দিন মহারাজ পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৭২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ঈগল প্রতীকে জেপি চেয়ারম্যান সাবে সাংসদ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৩ ভোট।
উল্লেখ্য, পিরোজপুর-২ আসনে জোট প্রার্থী জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু টানা সাতবার সংসদ সদস্য ছিলেন। এ আসনে আওয়ামীলীগ প্রথমে পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসকে নৌকার মনোয়ন দেয়। কিন্তু নির্বাচনে জোটের আসন ভাগাভাগিতে নৌকা চলে যায় জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর কাছে। আর অপরদিকে নৌকার মনোয়নন চেয়ে না পেয়ে সাবেক পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতায় নামেন। নির্বাচনে এক সময়ের শিষ্য মহিউদ্দিন মহারাজ এর কাছে হেরে যান নৌকার হেভিওয়েট প্রার্থী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। এক সময় মহিউদ্দিন মহারাজ সাবেক সাংস আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর শিষ্য ছিলেন। তার হাত ধরেই রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। নানা মত বিরোধের কারনে তাদের ভেতরে সম্পর্কে ভাটা পড়ে। মহিউদ্দিন মহারাজ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সার্বক্ষণিক হয়ে পিরোজপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক । পিরোজপুর-২ আসনে গুরু শিষ্যের ভোট যুদ্ধে শিষ্য বিজয়ী হন।
ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সহকারি রিটার্নিং অফিসার ও ই্এনও ইয়াসিন আরাফাত রানা বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ করার লক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ আসনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।