মোহাম্মাদ রতন, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকেঃ-
আজ শনিবার দুপুর ১২টার সময় পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদে রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারের নির্দেশনায় রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডি সার্কেল আরমান হোসেনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম আসে । জানা যায় গত ২৭শে জুন
রংপুরের পীরগঞ্জে চোরাই গরুসহ রনজু (৩৫) নামের এক চোর কে আটকের পর থানা থেকে রহস্যজনক ভাবে ছেড়ে দিয়েছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত ২৭শে জুন
শনিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, গত ২৬.০৬.২০ শুক্রবার প্রত্যুষে একটি ট্রাকে করে ৭টি চোরাই গরু নিয়ে উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের ফুটানির বাজার গ্রামীণ ফোন টাওয়ার নামক স্থানে সংঘবদ্ধ একটি চক্র ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। এ সময় বড় আলমপুর ষোল ঘরিয়া গ্রামের মৃত তোজা মিয়ার পুত্র রন্জু মিয়া ( ৩৫) তাতারপুর গ্রামের তোজাম্মেল হোসেনের পুত্র রেজাউল (৪০) সহ, আরও২/ ৩ জন মিলে নিজেদের ভাগের গরু স্ব-স্ব বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে ওই রাতে পার্শবর্তী টুকুরিয়া ইউনিয়নের টিওরমারী গ্রাম থেকে জয়নাল আবেদীনের ৫টি গরু চুরি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া গরুর সন্ধানে এসে জয়নাল ও তার লোকজন গোবিন্দগঞ্জ থেকে পৃথক চুরি যাওয়া গরুর সন্ধান লাভ করে
পুরো বিষয়টি কানাকানির এক পর্যায়ে থানা পুলিশপর্যন্ত গড়ায়। পীরগঞ্জ থানার দারোগা সাদ্দাম হোসেন গত ২৭শে জুন শনিবার রন্জুর নিজ বাড়িতে রাখা একটি চোরাই গরুসহ রনজুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। রাতভর দেনদরবার শেষে আটক রনজুকে পীরগঞ্জ থানা থেকে রহস্যজনক কারনে ছেড়ে দেয়া হয়।
ফলে গোবিন্দগঞ্জে চুরি যাওয়া এবং পরবর্তীতে তাতারপুর থেকে অবশিষ্ট আরো ৬ টি গরুর এখন পর্যন্ত কোন হদিস মেলেনি। এদিকে টিওরমারী গ্রামে চুরি যাওয়া গরু ৫টি, হরিনা থেকে ৪ টি গুর্জীপাড়ার চাতাল থেকে এক বিধবার ৩ টি গরু, শানের হাট থেকে ১ টি গরু এখনও উদ্ধার হয়নি।
তদন্ত শেষে রংপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডি সার্কেল আরমান হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন – দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।