জাহিদুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-করোনা প্রকোপের কারণে কারণে ধাপে ধাপে বেড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি।এরই অবসান ঘটিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডঃ দিপুৃমনি বলেন,”২৭ তারিখের পর যে কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে খুলতে পারবে।এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।”
বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব থেকে ‘২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারবে’, সরকারি এমন নির্দেশনার পর কি ভাবছে বশেমুরবিপ্রবি প্রশাসন জানতে চাইলে উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বলেন, “২৭ তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিট্রেশন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক ছাত্র এখনো টিকা নেইনি। টিকা না নিলে হল ক্যাম্পাস খোলার সম্ভাবনা নেই। আমি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে পূজার ছুটির পর হল- ক্যাম্পাস খুলতে পারে।আমরাও পূজার ছুটির পর হল খুলে সম্পূর্ণ কার্যক্রম চালাতে পারি বলে মনে করছি।”
শিক্ষা কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে শুরু করতে শিক্ষকদের অবস্থান জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব’কে বলেন, “নির্দেশনা পেলে সকল বর্ষের ক্লাস-পরীক্ষা অর্থাৎ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে প্রস্তুত শিক্ষকরা। “
এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। “
এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, “উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও কিন্তু ২৭ তারিখেই খুলছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে ৫ তারিখের পর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে পূজার ছুটির পর।”
হল খোলা প্রসঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি প্রেসক্লাব থেকে হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি ও শেখ রেহানা হলের প্রভোস্ট মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, “হল খুলে দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হল খোলার নির্দেশনা আসলেই আমরা হল খুলে দিতে পারবো। “
হল প্রভোস্ট কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট মোঃ ফায়েকুজ্জামান মিয়া বলেন, ” আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে এ মাসেই প্রভোস্ট কাউন্সিলের একটি মিটিং হয়।সেখানে হল খুলে দেওয়ার বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতির যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়,যেমন- পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিষয়গুলো,সেসব বিষয়ে আমাদের ইতোমধ্যে মোটামুটি প্রস্তুতি সম্পন্ন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসলেই আমরা হল খুলে দিতে পারবো।”