মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার ১ নং নিতপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হকের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বৈদ্দ্যপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ আমানুল্লাহ থানায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। বৈদ্দ্যপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা করণের জন্য চেয়ারম্যানের পক্ষে ইউপি সদস্য হালিম সহ মিস্ত্রিরা রাস্তার মাপজোগ করেন। রাস্তাটি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ১৮৫ ফিট হওয়ার কথা কিন্তু তারা মাত্র ৭০ ফিট মাপজোগ করেন। প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে আমানুল্লাহ চেয়ারম্যান এনামুল হকের সঙ্গে কথা বলতে নিতপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসা মোড়ে এসে চেয়ারম্যানকে রাস্তার বিষয়ে বললে ক্ষমতাসীন চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে আমানুল্লাহকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ কিলঘুষি মারতে থাকেন এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
আমানুল্লাহর অভিযোগ, চেয়ারম্যান মোঃ এনামুল হক উত্তেজিত হয়ে বলেন রাস্তা কি তোর বাপের টাকায় করছি যে তোকে হিসাব দিতে হবে। শালা তোকে মেরে শেষ করে দিবো। তোকে মেরে ফেললে কত টাকা লাগবে বলে লাঠি আনতে বলে। চেয়ারম্যানের কথা শুনে নিতপুর গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে গবিন ও ইদুল হোসেন ইদু’র ছেলে শাহিন পাশেই পড়ে থাকা গাছের ডাল দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যাই। এসময় আমার ডাক চিৎকারে সাক্ষী সহ অনেকে এসে তাদের হাত থেকে আমাকে প্রাণে রক্ষা করে। উক্ত ঘটনায় আমি চেয়ারম্যান এনামুল হক সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ২৪ নভেম্বর পোরশা থানায় একটি জিডি করেছি। জিডি নং ৯৯৮ ।
জিডির বিষয়ে চেয়ারম্যান এনামুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমানুল্লাহ এসে কাজে বাধা সৃষ্টি করে কিন্তু তাকে মারধর করা হয়নি এবং মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। জিডির ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন এবিষয়ে জানিনা। তবে সে আমার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করতে পারবে না।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই মারধরের ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জিডি করেছে ভুক্তভোগি আমানুল্লাহ। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।