এস, মন্ডল ,ফুলবাড়ী(দিনাজপুর)থেকে;
দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা মাথায় রেখে সরকার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহী করতে কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করেছেন। কৃষকেরাও তাদের ব্যাক্তিগত ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সরিষার ভালোদাম পাওয়ার আশায় উপজেলার প্রায় সব কৃষকেই কিছুনা কিছু সরিয়া চাষ করেছেন। তেমনি আশা নিয়ে ফুলবাড়ীর বাদল চন্দ্র প্রামানিকসহ অনেকেই তাদের আম ও মাল্টা বাগানে সাথী ফসল হিসাবে সরিষা চাষ করেছেন। সবুজ আমবাগানের মাঝে সরিষা ফুলের হলুদ রংঙ্গের এক অদ্ভুদ মিলন মেলা তৈরী হয়েছে। যা দেখে যে কারোও চোখ জুড়িয়ে যাবে।
উপজেলার কাঁটাবাড়ী গ্রামের কৃষক বাদল চন্দ্র প্রামানিক বলেন, আমি ৫বিঘা জায়গায় আমের বাগাল লাগিয়েছি। সেখানে প্রায় ২০০ আমের গাছ আছে। সারিবদ্ধ আমা গাছের ফাকা জায়গায় প্রতিবছর সাথী ফসল হিসাবে তিল,আলু চাষ করে থাকি। এবার বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার পেয়ে সাথী ফসল হিসাবে সরিষা লাগিয়েছি। সরিষার ফলন ভালো হয়েছে, আশানুরুপ ফসল ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করছি।
বারোকোনা গ্রামের কৃষক সাধন চন্দ্র সরকার বলেন, আমবাগানে সাধারণত কেউ সরিষা চাষ করে না। কিন্তু আমবাগানে বাদল চন্দ্র প্রামানিক এর সরিষা চাষ দেখে এবার প্রথম আমি আমার আমবাগানে সাথী ফসল হিসাবে সরিষা চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে। বর্তমানে ফুল ফুটে সারা মাঠ জুড়ে হলুদ বর্নে রুপ নিয়েছে দেখে খুব ভালো লাগছে।
উপজলো কৃষি র্কমর্কতা কৃষবিদি রুম্মান আক্তার জানান, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উৎবৃত্ত উপজেলা। এই উপজেলায় অন্যান্য ফসলের মতো এবার রবি মৌসুমে আমাদের প্রায় ১৩৪৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমির সদ্য ব্যবহার,সেই উদ্দেশ্যে আমরা সচেতনতা মুলক সেমিনার, আলোচনা সভা করেছি। যাতে করে ফাকা জমি গুলোতে কৃষক ভাইয়েরা তেল জাতিয় ফসল উৎপাদ করতে পারে। ভোজ্য তেলের আমদানি কমাতে উৎসাহি হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ফুলবাড়ী উপজেলায় নতুন স্থাপিত আম ও মাল্টা বাগানের ফাকা জায়গায় গুলোতে জমির সদ্য ব্যবহার করা হয়েছে। এই বাগান গুলোতে সাথি ফসল হিসাবে সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হয়েছে।