এস,মন্ডল ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ভুট্টা চাষে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতিবছরের এ উপজেলা ভুট্টার চাষ বেশি হয়। এ বছর উপজেলার শিবনগর,আলাদিপুর,এলুয়াড়ী,খয়েরবাড়ী,বেতদিঘী,দৌলতপুর,কাজিহালসহ বিভিন্ন এলাকায় ভুট্টা রোপন করেছেন কৃষকেরা। গত বছরের চেয়ে এবছর শীতের তিব্রতা বৃদ্ধি ও বেশ কিছুদিন যাবৎ সুর্যের দেখা না পাওয়ায়। ভুট্টা গাছের ব্যাপক ক্ষিত হয়েছে।
সরজমিনে এসব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভুট্টার গাছ গুলো হলুদ হয়ে গেছে এবং সাইজে ছোট হয়ে আছে। তবে যারা নভেম্বরের দিকে ভুট্টা রোপন করেছে তাদের গাছ গুলো প্রায় সবলেই আছে। উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, ভুট্টা রবি মৌসুমের ফসল। রবি মৌসুমে ভুট্টা দুই বার চাষ করা যায়।আগাম পর্যায়ে ১৫ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও ভুট্টার চাষ বেশি হচ্ছে।
শিবনগর এলাকার কৃষক মদন চন্দ্র জানান, এবার শীত অনেক বেশি তার উপরে প্রায় ২০ দিন যাবৎ সুর্য্য উঠে নাই। সেকারনে ভুট্টা গাছ গুলো হলুদ হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি গাছের বৃদ্ধি কমে গেছে। আমরা ভুট্টাকে বাঁচাতে রাসায়নিক স্প্রে করছি। যদি ঠিক মতো রোদ পায় তাহলে হয়তো ভুট্টা ক্ষেতকে বাঁচানো যাবে। এমন কথা বলেন বারোকোনা গ্রামের কামরুজ্জামান, খয়েরবাড়ী গ্রামের রিপন মন্ডল,আলাদিপুরের হবিবর রহমান, হরিষ চন্দ্র মহন্তসহ অনেকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জনান, কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রতিবছর ভুট্টার ব্যাপক চাষ হয়। এবছর আমাদের লক্ষমাত্রা ৩৭৯৮ হেক্টর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫৫৭৬ মেট্রিকটন। এবার শীতের প্রকোপ একটু বেশি সেকারনে রবি শস্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে রোদের তিব্রতা বৃদ্ধি পেলে শীত জনিত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে এবং আমরা আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো। আমরা কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। প্রকৃতির এই দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া আছে।