এস মন্ডল ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রতিমাসে ন্যায্যমূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্ডধারীদের মধ্যে পণ্য বিতরণ করে থাকে। এসব পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সুবিধাভোগীরা। তারা বলছেন, যে পরিমাণ পণ্য দেওয়া হয় তা দিয়ে একটি পরিবারের এক মাস চলে না। ৫/৬ সদস্যের একটি পরিবারের পুরো মাসের জন্য পণ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হোক। এছাড়া এখনো অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত তাদের জন্য টিসিবি‘র কার্ড বৃদ্ধির দাবিও জানান তাদের।
বর্তমান একটি কার্ডের বিপরীতি ২ কেজি তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি চাল দেয় টিসিবি। রজমান মাসে এর সাথে যোগ হয়েছে ১ কেজি ছোলা বুট।
গত সোমবার (১৮ মার্চ ) উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে পৌরসভার ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবি‘র কার্ড ধারিদের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলে। পণ্য নিতে এসে নিজেদের দাবির কথা তুলে ধরেন কার্ডধারীরা। এর পাশাপাশি যারা টিসিবি‘র কার্ডধারী নয়, তারাও ভিড় করছে এখানে । তারা বলছেন আমরাও গরিব মানুষ আমাদেরও টিসিবি‘র পণ্য পাওয়ার অধিকার আছে। অথচ আমাদেরকে বাদ দিয়ে অনেক ধনি মানুষকেও কার্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে টিসিবি‘র তালিকায় নেওয়া জন্য সরকারে প্রতি অনুরোধ করছি।
টিসিবির পণ্য নিতে এসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোসলেম উদ্দিন বলেন, একটি পরিবারে ৫/৬ জন মানুষ থাকে। তাদের জন্য ২ কেজি তেল, ২কেজি মসুর ডাল, ৫ কেজি চাল এসব কিছুই না। তবে এগুলো পেয়ে কিছুটা উপকার হচ্ছে। যদি এর পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয় তাহলে একটি পরিবার ভালোভাবে চলতে পারতো। আশাকরি আগামীতে সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবে।
৭ নম্বর ওয়ার্র্ডের মনোয়ারা বেগম নামের এক কার্ডধারী বলেন, আমার পরিবারে ৫ জন সদস্য। স্বামী মারা গেছেন। এসব পণ্যের পরিমাণ বাড়ালে কষ্ট কিছুটা কম হতো। প্রতি মাসে চিনি দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেয়া আক্তার বলেন, বর্তমানে চিনি ও পেঁয়াজের দাম বেশি। চালের দাম বাজারে কমই আছে। দুই বছরের বাচ্চা নিয়ে পণ্য নিতে এসেছেন সালমা বেগম। তিনি বলেন, তার পরিবারে ৪ জন সদস্য। পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো দরকার।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের আসমা আক্তার নামে অপর কার্ডধারী বলেন, বর্তমানে পেঁয়াজের দাম দেড়শ টাকা, চিনির দাম ১৪০ টাকা। সরকার যদি এসব পণ্য দিতো তাহলে ভালো হয়। এই অল্প পরিমাণ পণ্য পাওয়ার পর আমাদেরকে দোকানে যেতেই হয়।
স্থানীয় অনেক সুধিজনেই মনে করছেন টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাগব হলেও মধ্যবিত্তদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মানুষকে প্রশান্তি দিতে না পারলে সরকারের নেওয়া সব উদ্যোগ ভেস্তে যাবে ।