আবদুল্লাহ আল মামুন:
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামে মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত উপকারভোগীদের বসবাসরত ঘরগুলো সোমবার (১২ জুলাই) বিকেলে জরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
এসময় জেলা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ঘরগুলো পরিদর্শন করে উপকারভোগীদের সাথে কথা বলেন, তাদের সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। উপজেলার মোমারিজপুরের ঘরগুলোতে পরিলক্ষিত ছোটখাটো ত্রুুটিসমূহ তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক উপজেলার বারাহীগোবিন্দ গ্রামে নির্মাণাধীন ঘরগুলোও পরিদর্শন এবং ঘরের গুণগত মান যাচাই করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়া, সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজালা পারভীন রুহি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল হাসান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও ইউপি সদস্যবৃন্দ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, ঘরপ্রতি ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা বরাদ্দে এই উপজেলায় ৬৩ টি ঘর (বারান্দাসহ দুইটি কক্ষ, রান্নাঘর, টয়লেট) নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৪টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। একাজে টীম দাগনভূঞার (সকল জনপ্রতিনিধি, সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) আন্তরিকতা, শ্রম ও প্রচেষ্টার কমতি ছিল না এবং এখনো নেই। ঘরের চলমান কাজগুলোতে আমাদের বিভিন্ন সহকর্মীদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সঠিক উপকারভোগী ও উপযুক্ত খাস জমি নির্বাচন, উন্নত নির্মাণ সামগ্রী নিশ্চিতকরণ, খাস জমি নিচু প্রকৃতির হলে তা ভরাট করা, ভরাটকৃত স্থান রক্ষণাবেক্ষণে গার্ড ওয়াল ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ সিস্টেম তৈরিসহ যত ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন তা করা হয়েছে। এরপরেও কোথাও কোন সমস্যা পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথেই সেটা সংস্কারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি আরো জানান, আমরা সবাই জানি যে, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বিনামূল্যে গৃহ ও ০২ শতক ভূমি প্রদান প্রকল্পটি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যান্ত আবেগের, যার মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল নিশ্চিত করতে চেয়েছেন। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।