ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীর সোনাগাজীর মহেশ্চর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুরের পুকুর থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মাছলুট, বাড়ি-ঘরে হামলা ভাঙচুর ও কাঁটা দিয়ে চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর ৪জুন শুক্রবার ভোরে অভিযান চালিয়ে জাফর আহমদ, শাহ আলম ও নাহিদ হাসান নামে তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এজাহার নামীয় অপর তিন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ভুক্তভোগী, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- অবসরপ্রাপ্ত ভূমি কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর দীর্ঘদিন যাবত সোনাগাজী পৌর শহরে বসবাস করছেন। গ্রামের বাড়িতে কেউ না থাকায় একই বাড়ির প্রতিপক্ষ জাফর আহমদ গং ভূমি কর্মকর্তার সহায় সম্ভল দখল করে নেয়ার পাঁয়তারা করে। আসামিরা ইতিপুর্বে জোরপুর্বক গাছপালা কেটে নিয়েছে এবং গাছের ফল ফলাদি চুরি করে নিয়েছে। গত ১৫ মে সকাল বেলা আসামিরা অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে ভূমি কর্মকর্তার একক মালিকী পুকুর থেকে কমপক্ষে ৭০০ কেজি মাছ লুট করে ট্রলি গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে গেছে। লুন্ঠিত মাছের মুল্য প্রায় ১লাখ ৪০হাজার টাকার অধিক হবে। ভূমি কর্মকর্তা বিষয়টি সামাজিক শালিশের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন। সামাজিকভাবে একাধিক সালিশী বৈঠক হয়। সালিশী সমাধানের আগেই গত ৩১ মে সকাল বেলা প্রতিপক্ষ জাফরের নেতৃত্বে আসামিরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে ভূমি কর্মকর্তার বসত ঘরের উত্তরপাশে থাকা টয়লেট ও পানির পাইপ লাইন ভাঙচুর করে এবং চলাচলের পথ কাঁটা দিয়া বন্ধ করার চেষ্টা করে। লুটপাট ও ভাংচুরের পরে আসামিরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশগুম করার হুমকি দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। তিনি সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন- একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে প্রশাসনের সার্বিক সহায়তা পাওয়ায় আমি সন্তুষ্টি জ্ঞাপন করছি। আমি এ দুস্কৃতিকারীদের শাস্তি দাবী করছি।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুল ইসলাম তিন আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ঘটনাটি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আসামীদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।