জাহিদুল ইসলাম,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের কর্মকর্তা,কর্মচারী কোটায় ভর্তি করান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব।
বেশ কয়েকদিন ধরে কর্মকর্তা,কর্মচারী কোটায় তাদের আত্মীয় ভর্তির দাবিতে আন্দোলন করেন অফিসার্স এসোসিয়েশন।এতে কর্ম বিরতি ঘোষণা করেন তারা।এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য তাদের ফেল করা আত্মীয়দের কোটায় ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন।
ফেল করা শিক্ষার্থীদের কেন কোটায় ভর্তি করানো হলো,এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন,”একজন কর্মকর্তা,কর্মচারীর সন্তানের এখানে পড়ার অধিকার আছে।সারাটা জীবন তারা এখানে দিবে,তারা তাদের সন্তানদের নর্থ সাউথে পড়ানোর যোগ্যতা নেই।”
এরকম ভর্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিস্টেম এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করলে,উপাচার্য আরও জানান,”কোটার এখনো ১৫ টা সিট খালি আছে।আমরা কোনো শিক্ষার্থী নিতে পারছি না,এটা খালি থাকবে।গতবছর ১২ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়েছিলো,তখন কেউ তো কথা বলেনি।তাহলে এখন কেন কথা হচ্ছে?আমরা এবার ২০ নম্বর পর্যন্ত নিবো।”
উপাচার্যের এমন সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।তারা বলছেন,”মেধা দিয়ে,পরিশ্রম করে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম সারিতে থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি।কারও দয়ায় পাইনি।তাহলে ফেল করা শিক্ষার্থীরা কেন আমাদের সহপাঠী হবে?”
শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে তুয়া চৌধুরী বলেন,”পাশ না করেও ভর্তি হতে চাওয়া বোকামি,আর ভর্তি নিলে সেটা হবে অনেক বেশি বোকামি এবং অযৌক্তিক। অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন হওয়া উচিৎ না।এভাবে তো মেধাবীদের উচ্চশিক্ষা বলতে কিছুই থাকবে না।তারা তাদের আত্মীয়দের কেমন শিক্ষা দিতে চায় যে,ফেইল করার পরেও ভর্তির জন্য আন্দোলন করে!”