17 C
Bangladesh
Saturday, December 21, 2024
spot_imgspot_img
Homeউন্নয়নবঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে -পীরগঞ্জে ভার্চুয়ালী স্পিকার ড....

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে -পীরগঞ্জে ভার্চুয়ালী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি:
৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী বাঙালী জাতির
গভীর শোকাবহ দিন। এদিন আমরা পরম প্রিয় জাতির পিতাকে হারিয়েছি, তার ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছি। কাজেই তাঁর যে আদর্শ, সেই আর্দশকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভুমিকা রাখতে হবে।
গত ১৫ আগষ্ট (রোববার) বিকেলে উপজেলার বড়আলমপুর ও চতরায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় পৃথক পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী স্পিকার এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে ভালবাসতেন বলেই এ জাতির অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর সাহস, আপোষহীনতা, দেশপ্রেম ও মানুষের জন্য ভালবাসা এই গুণগুলোকে আমরা ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি পরিপূর্ণ সম্মান জানাতে পারব। এসময় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান স্পিকার।
স্পিকার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অবিসংবাদিত নেতা এবং বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও বেগম মুজিব, তাদের দুই পুত্র, দুই পুত্রবধূ ও শিশু শেখ রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এসময় ১৫ আগস্টে শহীদ সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান স্পিকার।
স্পিকার আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ আগষ্টের হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ার দাঁড় করিয়ে অপরাধিদের বিচার করতে সচেস্ট হয়েছেন। এখনও যেসব অপরাধি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে তাদেরকে দেশে আনতে প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, আমরা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। যিনি দিয়ে গেছেন এই স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ, লাল-সবুজ পতাকা, তিনি হলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অদম্য সাহস নিয়ে তিনি জীবনের পরোয়া করেননি। কোন পদ-পদবীর লোভ না করে তিনি গভীরভাবে ভালবেসেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন, তবুও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। ১৯৮১ সালে দলের হাল ধরে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেছেন। এই দুঃসময় ও ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা মনে রেখে আমাদের সকলকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যেতে হবে।
এ সময় বড়আলমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মাস্টার ও চতরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রভাষক হাসান আলী প্রধানের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাকিবুল ইসলাম নয়ন, বড়আলমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান, বড়আলমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বকুল মিয়া মাস্টার, চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন, চতরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা হাফিজ আব্দুন নূর সোহেল, আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান সেলিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

Most Popular

Recent Comments