কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
কক্সবাজার থেকে সমুদ্র মাছ ধরতে গিয়ে বৈরি আবহাওয়ার প্রভাবে সাগরে ট্রলার ডুবিতে মো. আব্দুল্লাহ (৫৪) নামের এক জেলেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসে অন্য জেলরা পরে তাঁকে নিয়ে এসে মৎস্য অবতরণ আলীপুর ঘাটে ছেড়ে দেয় এই খবর পেয়ে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের একটি টিম তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা, পরনের বস্র খাবার দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের চালনার বয়া এলাকায় দূর্ঘটনার শিকার হন মায়ের দোয়া-১ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার। উদ্ধার হওয়া জেলে কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকার ছোট মহেশখালী ইউপির সহুরমল্লিকের ছেলে। তিনি কক্সবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শামসু মিয়ার মালিকানাধীন ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া-১ এ তিনিসহ মোট ১৯ জন জেলের কাজ করতেন। গত ১ মাস ২০ দিন আগে কক্সবাজার থেকে ট্রলার নিয়ে সমুদ্রে যায় পরে কয়েকবার মাছ বিক্রি করে পটুয়াখালীর আলীপুর মহিপুর বন্দরে।
উদ্ধার হওয়া জেলে আব্দুল্লাহ জানান, সমুদ্র উত্তাল হয়ে আমাদের ট্রলারটিকে উপর করে ফেলে। এরপরে আমরা সবাই ভাসতে থাকি এরপরে কে কোথায় চলে গেছে আমি আর জানিনা। কতক্ষণ পরে আমাকে কিছু জেলেরা নিয়ে আসে এখানে। খবর পাওয়া সাথে সাথে এই ছাত্রদলের কয়েকজন আমাকে আশ্রয় দেয়। পরে আমাকে খাবার-দাবার দিয়ে আমার বাড়িতে পাঠানোর সব খরচ তারা বহন করে। আমি একমাস ২০ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। বাড়ির লোকজনের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই।
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. ওবায়দুল মুন্সি জানান, ছাত্রদল নেতা ফয়সালের কাছে এই খবরটা আসলে আমরা তাকে আলীপুর ঘাট থেকে উদ্ধার করে রাতে ওরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফয়সালদের বাড়িতে রাখি আজকে তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে কক্সবাজার বাজারে পাঠিয়েছি।
কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. নেছার উদ্দিন হাওলাদার জানান, ছাত্রদলের কয়েকজনের কাছে খবর পেয়ে আমি ছুটে গিয়ে তাঁকে দেখি পরে তার কাছ থেকে পরিবারের ঠিকানা নিয়ে ওখানে এক জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে কুয়াকাটা থেকে কক্সবাজারের গাড়ির টিকেট, পথে খরচের টাকা এবং বাড়ি পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় সবকিছু দিয়ে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রদল সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করবে।