তারিকুল ইসলাম (আরিফ), বরিশাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন সাহরিনা সোহা। পড়েছেন বিজ্ঞানের একটি রসকষহীন বিষয় গণিত নিয়ে। বিভাগের প্রথম ডিন’স এওয়ার্ড প্রাপ্তদের একজনও তিনি। গত সপ্তাহে টিচিং এসিস্ট্যান্টশীপ নিয়ে স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেয়া সাহরিনা জীবনের লক্ষ্য হিসেবে ঠিক করেছেন গবেষণাকে।সেখানকার ওয়েস্টার্ন কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহরিনার ২ বছরের পোস্ট গ্রাজুয়েশনের কোর্স শুরু হবে আগামী মাসে।বর্তমানে কেনটাকির বোওলিং গ্রিন শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে আছেন তিনি। শীতপ্রধান সেদেশে বর্তমানে উষ্ণ গ্রীস্ম চলমান ।
এর মধ্যেই নতুন জায়গায় নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিতে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) কথা বলেন এই প্রতিবেদকের সঙ্গে। জানান নিজের ফেলে আসা জীবন,স্বপ্নপূরণ আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে।
সাহরিনা বলেন, বাংলাদেশে একজন বিবাহিত নারীর ক্ষেত্রে পরিবার রেখে বাইরে পড়াশোনা করতে আসা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং৷ তবে আমার নিজের ও স্বামীর পরিবারের সবাই খুব সহযোগী ছিল। উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বাইরে আসার স্বপ্নটা সত্যি করতে যে বন্ধুটি সবসময় আমার পাশে ছিল সেই পরবর্তীতে আমার জীবনসঙ্গী হয়েছেন।
গবেষক হবার স্বপ্ন দেখা সাহরিনা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করে তিনি চীন সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানকার হারবিন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হন৷ তখন থেকেই গবেষণা তাকে আকৃষ্ট করে৷ সেখানে ‘ইমেজ প্রসেসিং অন ডিজিটাল মেডিকেল হেলথ ইনফরমেটিকস’ বিষয়ে একাডেমিক গবেষণায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, আমি আমেরিকাতেও ডেটা সাইন্সের ওপর গবেষণা করবো৷ এখানে পিএইচডি শেষ করে এখানকারই কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যুক্ত হবার চেষ্টাও চালাবো সমানতালে। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে আমেরিকায় গবেষণার সুযোগ বেশি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমার দেশের জন্য কিছু করতে চাই।
যারা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ পাড়ি দিতে ইচ্ছুক তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে সাহরিনা বলেন, আসলে কেউ যদি নিজের লক্ষ্যে অটুট থাকে তবে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ খুব একটা কঠিন কিছু না তাঁর জন্য। অনেকে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রেজাল্ট নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। তবে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করতে পারলে দেখা যাবে যেকোনো দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে নিজের এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড খুব একটা প্রভাব ফেলে না।