শফিকুল ইসলাম(এমএ)
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষকের বেতের পিটুনি ও গালমন্দ করায় ১০ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে ওড়না ও গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় রাতে ওই ছাত্রীর বাবা সুমন মিয়া স্থানীয় দারুল ফালাহ্ প্রি ক্যাডেট একাডেমীর সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানান মৃত নুশরাত জাহান নোহা আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের মোঃ সুমন মিয়ার মেয়ে ওখাজুরিয়া দারুল ফালাহ্ প্রি ক্যাডেট একাডেমীর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। করোনা ভাইরাসের কারণে খাজুরিয়া দারুল ফালাহ্ প্রি ক্যাডেট একাডেমীর ক্লাশ বন্ধ ছিলো। গত এক সপ্তাহ আগে ক্লাশ শুরু হলে নুশরাত জাহান নোহা ক্লাশে যাওয়া শুরু করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর ক্যাডেট একাডেমীতে মাসিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং বুধবার ৯ই সেপ্টেম্বর দুপুরে ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে নুসরাত অকৃতকার্য হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইক তাকে ক্লাশ রুমে নিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের সামনে হাতে লাঠি দিয়ে পেটায় এবং গালমন্দ করে। এতে স্কুল ছাত্রী কষ্ট পায় এবং বাড়িতে ফিরে গিয়ে কান্নাকাটি করে। পরবর্তীতে বুধবার বেলা দুপুরে সবার অজান্তে বসত ঘরের দোতলার আড়ার সাথে ওড়না ও গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর সুমন মিয়া তার মেয়েকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। শিশু নুসরাতের এমন মৃত্যুর জন্য শিক্ষক সুমন পাইককে দায়ী করছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং ০৯/০৯/২০২০। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছে। পুলিশ ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করেছে।