28.5 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
Homeআইন ও আদালতবরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার মামলার আসামি গ্রেফতার।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার মামলার আসামি গ্রেফতার।

শফিকুল ইসলাম(এম এ)স্টাফ রিপোর্টারঃ-

চাঞ্চল্যকর বাকেরগঞ্জ থানার ডাবল মার্ডার মামলার সকল আসামিদের মাত্র তিনদিনেই আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হলো বরিশাল জেলা পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামির ভিতর দুই জন আসামি আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রকাশ করেছে। বরিশাল জেলার পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম-বার এর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এর দক্ষতায় এই সাফল্য এসেছে বলে পুলিশ সুপার জানান।

উল্লেখ্য যে গত ৩ জুলাই সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাকেরগঞ্জ থানার চর লক্ষীপাশা এলাকায় একটি বাগানের ভেতর মোহাম্মদ ইয়াসিন(২০) নামে এক যুবকের গলা কাটা লাশ পাওয়া যায় । পরের দিন সকাল ৮ ঘটিকায় একই স্থানে নদীর ভিতর ইয়াসিনের পিতা মো: হেলালের(৫৫) ছুরি দিয়ে আঘাত করা লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের ভাই লাশ সনাক্ত করেন এবং জানান যে তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নলছিটি থানা এলাকায়। তারা পিতা-পুত্র মাছ ধরার চাই র ব্যবসা করত । চাই তৈরি করে একটি ট্রলার ভাড়া করে গত ২৭ জুন বরিশাল এলাকার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি শুরু করে। গত ৩ জুলাই দুপুর ১২ টার পর থেকে পিতা-পুত্র দুইজন নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে থানায় ভিকটিম এর স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে ।
আসামিরা ভিকটিমের মোবাইল, ট্রলার, সাথে থাকা টাকা-পয়সা এমন পরিধেয় কাপড়-চোপড় নিয়ে পালিয়ে যায় । বরিশাল জেলা পুলিশের চৌকস অফিসার মো: নাঈমুল হক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এবং মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদ্বয় পুলিশ সুপারের নির্দেশে উক্ত মামলার আসামিদের অবস্থান নির্ণয় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করে।পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম-বার এর নির্দেশনায় দ্রুতই তারা আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং পরবর্তীতে ঢাকা জেলা পুলিশের সহায়তায় সদরঘাটের তেলঘাট এলাকা থেকে ট্রলার এবং মোবাইল সহ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলো (১)বাদশা(৩৮) (২)শাহিন(২৫) এবং (৩) সানি(১৮) প্রত্যেকেরই বাড়ি বাকেরগঞ্জের গোমা এলাকায়।
পরবর্তীতে আসামি সানি এবং শাহীন ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রধান করে। অন্য আসামি বাদশা কে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। শুধুমাত্র ট্রলারটি ছিনিয়ে নেয়ার জন্যই উক্ত হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ঢাকায় ট্রলার বিক্রি করার সময় আসামিরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়।

Most Popular

Recent Comments