22.8 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
HomeUncategorizedবসবাসের অনুপযোগী বিএম কলেজ (ডিগ্রি হল) ছাত্রাবাস।

বসবাসের অনুপযোগী বিএম কলেজ (ডিগ্রি হল) ছাত্রাবাস।

বিএম কলেজ প্রতিনিধি:

বিএম কলেজ ডিগ্রি হলের করুন অবস্থা । ঝুঁকিপূর্ন ভবনে বসবাস করছেন শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকিপূর্ন ভবনের ইট সুড়কি খসে পড়ছে। খসে পড়ছে পলেস্তারাও। অনেক যায়গায় বের হয়ে গেছে রড। অনেক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ থেকে পড়ছে পানি। সিলিংজুড়ে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা। আগাছা জন্মেছে যেখানে-সেখানে। বরিশাল বিএম কলেজের ( এ-ব্লক, বি-ব্লক,সি-ব্লক ও ডি ব্লক) হলের এমন করুণ দশা। বসবাসের অনুপযোগী এসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন শত শত শিক্ষার্থীরা।মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে যদি কোনো হল বসবাসের অনুপযোগী থাকে সেটি আমাদের বি এম কলেজ ডিগ্রি হল । এর চেয়ে বেশি সমস্যা আর কোনো হলে হতে পারে বলে মনে হয় না।কলজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইসমাঈল বলেন, ডিগ্রি হলে ভবন রয়েছে ৩ টি এবং টিন শেড ভবন রয়েছে ১ টি । সব কয়টা ভবনের ছাদে ফাটল ধরেছে। ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। টিন শেড ভবনের সংস্কার হয়নি দীর্ঘদিন। প্রতি বছর বর্ষায় টিনের চাল চুঁইয়ে ঘরে পানি পড়ে। ঘরে শুয়ে আকাশ দেখা যায়।বি ব্লক হলের বায়জীদ বলেন, ছাত্রাবাসে নয় আমরা থাকি যেন কোনো পরিত্যক্ত ভবনে। যেখানে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। ভবনটির ২১৪ নম্বর রুম সহ হলের সব রুমের অবস্থা খুবই করুণ। বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়।সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বি এম কলজের ডিগ্রি হলের ভবন গুলো । সংস্কার মেরামত না হওয়ায় ছাত্রাবাসের নাজুক অবস্থা। আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়েই শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাসে থাকতে হচ্ছে।কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, অনেক রুমের জানালা ভাঙ‍া। ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ার কারণে মাঝরাতে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠতে হয়। ডায়নিং ও শৌচাগারের অবস্থা খুবই করুণ।হলের ছাত্ররা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শত বছরের বেশি পুরনো কলেজটিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও ২২ টি বিষয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। শিক্ষার্থীর তুলনায় ছাত্রাবাসের সিট কম। যা খুবই অপ্রতুল। ছাত্রাবাসের অনেকগুলো কক্ষ বসবাসের অনুপযোগী। তিনি আরো বলেন,হল মেরামত ও সংস্করণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করি বরাদ্দ পেলে নতুন ভবন তৈরি করতে পারবো এবং শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস সংকট কেটে যাবে ।

Most Popular

Recent Comments