বি এম কলেজ প্রতিনিধি:
বরিশালের দক্ষিণ বঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ বি এম কলেজের মাঠ পার্ক হিসেবে ব্যাবহার করছেন বহিরাগত দর্শকরা। ১১ মে বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বি এম কলেজের মূল ভবনের সামনের মাঠে আপত্তিকর অবস্থায় শুয়ে আছেন এক প্রেমিক যুগল। মাঠের পূর্ব পাশে ব্যাঞ্চে কোলের উপর শুইয়ে আছেন আরেক প্রেমিক যুগল।গোপন সূত্রে জানা যায় এই যুগলদের কেউ বি এম কলজের শিক্ষার্থী না। বহিরাগত দর্শক, বি এম কলেজে ঘুরতে এসেছেন। ব্যাঞ্চে শুইয়ে থাকা প্রেমিক যুগল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটা একটা বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে আমরা যা খুশি করবো, নাচবো, গাইবো,আড্ডা দিবো ফুর্তি করব তাতে আপনাদের সমস্যা কি? এক পর্যায়ে কলেজে পারমিশন নিয়ে প্রবেশ করেছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা যেহুতু একটা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে প্রবেশের জন্য পারমিশন নিতে হবে কেন? এটা সবার জন্য উন্মুক্ত।
বি এম কলেজের মুসলিম হল (ছাত্রাবাস) মূল ভবনের মাঠের পাশেই। মুসলিম হলের ছাত্র সৌরভ খন্দকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এই মাঠের আনাচে কানাচে প্রায় সময়ই প্রেমিক প্রেমিকাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় , বিশেষ করে যাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় এরা সবাই বহিরাগত। আমরা এদের কাউকে চিনি না। বহিরাগতদের জন্য কলেজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এই ব্যাপারে আমরা অনেক বার কলেজ প্রশাসন কে বিষয় টি জানিয়েছি, কিন্তু কলেজ প্রশাসন দেখবো দেখবো করে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
কলেজে বহিরাগতদের আনাগনা, বহিরাগতরা কলেজের পরিবেশ নষ্ট করতেছে এই প্রশ্নের জবাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ প্রশাসনের এক স্যার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন বি এম কলেজ দক্ষিণবঙ্গের অনেক বড় একটি কলেজ । যেহুতু বড়ো কলেজ সেহুতু শিক্ষার্থী তুলনামূলক বেশি। শিক্ষার্থী বেশি হয়ে যাওয়ার ফলে গেট থেকে কলজে প্রবেশ করার সময় কে এই কলেজের ছাত্র আর কে বহিরাগত এসব আইডেন্টিফাই করা সম্ভব হয়না। তবে গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় যাতে সবাইকে আইডেন্টিফাই করা যায় আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছি।