শেখ সিফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়:
আজ বুধবার,৬ মার্চ, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে বহিরাগত সীমিতকরণ, অবাধ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও শব্দদূষণমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মানবন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যটন কেন্দ্র নয়, বহিরাগত প্রবেশ সীমিত কর করতে হবে, আমাদের দাবি
নিরাপদ ঢাবি, দাবি মোদের একটাই নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয় এবং শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের মাধ্যমে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে পদযাত্রা শুরু হয়।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা তাহসিন হাফসা বলেন, ”ছুটির দিনে ক্যম্পাস যেন পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হয়। টিএসসির কাছে নারী শিক্ষার্থীদের দুটি হল রোকেয়া হল এবং শামসুন্নাহার হল রয়েছে। তাদের অনেকেই টিউশনি শেষ করে হলে ফিরতে সন্ধ্যা পার হয়ে যায়। আর এসময় প্রায়ই ফিজিক্যাল ও মেন্টাল হ্যারাসমেন্টের শিকার হতে হয়।”
আইন বিভাগের ছাত্র সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ”টিএসসির মানে হচ্ছে টিচার্স অ্যান্ড স্টুডেন্ট সেন্টার। কিন্তু এখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর চেয়ে বহিরাগতদের পরিমাণ বেশি। ঢাবি ক্যম্পাস যেন আজ মহাসড়কে পরিণত হয়েছে। অথচ ক্যাম্পাসের দুই দিকেই আলাদা রাস্তা রয়েছে। রাস্তাগুলো শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয় অনেকক্ষণ। এছাড়া ক্যাম্পাসে পাগল, মাদকাসক্তদের উৎপাত এতো বেড়েছে যে নিরাপদে চলাচল করা যায় না। আমরা ক্যাম্পাস বহিরাগতমুক্ত করতে বলছি না, আমরা চাই বহিরাগত প্রবেশ সীমিত হোক।”
ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ফাহিম শাহরিয়ার বলেন, ‘নিজের বাড়িতে আমরা নিজেরাই পরবাসী। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় মুক্তভাবে চলাফেরা করবো এটাই প্রত্যাশা। বিশ্ববিদ্যালয় আজ পার্কে প্রতিষ্টিত হয়েছে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় আমরা নিজেরাই হবো। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কম হলেও সীমিতকরণ সম্ভব। যদি প্রশাসন না পারে আমাদের বলেন আমরা সহযোগিতা করতে চাই। নিজেদের ক্যাম্পাসে আমরা বহিরাগত হতে চাইনা। আমরা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নিয়েই ঘরে ফিরবো।”
শেষে শিক্ষার্থীরা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বহিরাগত প্রবেশ সীমিতকরণের বিষয়ে প্রস্তাবণা পেশ করে এবং পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর প্রস্তাবনার স্মারকলিপি পেশ করেন। প্রস্তাবনায় তিন দফা দাবি পেশ করা হয়, ১। বহিরাগত সীমিতকরণ ২। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ৩। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ।
শিক্ষার্থী এবি জুবাইর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বইমেলা হওয়ায় বহিরাগতদের প্রবেশ যেন বেড়েই চলেছে। শেষ হওয়ার পরেও কমছেনা তাদের আনাগোনা। প্রশাসন চাইলে বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।’ তিনি বলেন, ” ভিসি স্যারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। যদি তিনি না পারেন তবে আমরা রুপরেখা দিবো এ বিষয়টি বলা হয় এবং তিনি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সহিত দেখবেন।’