পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে বড় ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তির নাম মো. রফিক তালুকদার(৫৫)। তিনি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নিজ তাঁতেরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম ফকু তালুকদার। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নাজিরপুর ইউনিয়নের তাঁতেরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে। এঘটনায় বাউফল থানায় বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত রফিক তালুকদার। থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রফিক তালুকদার (৫৫) ও স্বপন তালুকদার (৫০) দুই ভাই। তারা একই বাড়িতে থাকেন। জমিজমা নিয়ে দুই ভাইযের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন রফিকের বাসার সামনে পানি ফালানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বপণ তালুকদার ও তার দুই ছেলে ওমর (২৯) ও তাফিন( ১৯) দারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে রফিক তালুকদারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। তার মাথায় গুরুতর জখম হয়। এ সময় রফিকের স্ত্রী পারভীন বেগম ও তার ছেলে কামরুলকে মারধর করা হয়। আহত রফিকের স্ত্রী পারভীন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তার মাথায় কোপ দেওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে স্বপন ও তার ছেলেরা। এঘটনার বিচার দাবি করে আহত রফিক বলেন, স্বপন আমরা আপন ভাই। তার সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে। সে বিচার সালিশী মানে না। গায়ের জোরে আমার জমি দখল করতে চায়। আমরা নিরীহ মানুষ। আমাগো কোনো ক্ষমতা নাই। তারা ক্ষমতার জোরে আমাদের ওপর হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়। এসময় আমার সাথে থাকা মাছ বিক্রির ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এবিষয়ে স্বপন তালুকদারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে ওমর তালুকদার বলেন, আমরা কারো ওপর হামলা করিনি। আমার চাচা রফিক তার ছেলেরা ও বহিরাগত লোক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।