পটুয়াখালীর বাউফলে বিরোধপূর্ণ জমিতে ধান কাটা নিয়ে দ্বন্দ্বে স্থানীয় সাংবাদিক জাহিদ শিকদার সহ একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী নান্নু গংদের বিরুদ্ধে । বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে ।
আহতরা হলেন ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠী গ্রামের আবুল হোসেন সিকদারের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৪৫), সাংবাদিক জাহিদ শিকদার (৩১), মো. নাজমুল হাসান (২৫), মো. নজরুল ইসলাম (২৩) ও তামিম বিল্লাহ (১৯)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক জাহিদ শিকদার বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সাংবাদিক জাহিদ শিকদার স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত আছেন।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের মৃত কালু সিকদারের ছেলে নান্নু সিকদার ও চুন্নু সিদকারের সাথে আবুল হোসেন সিকদারের পৈত্রিক জমি জমা নিয়ে পূর্ববিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন আবুল হোসেন সিকদারের জমিতে চাষাবাদকৃত পাকা ধান
সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু নান্নু ও চুন্নু সিকদার ভাড়াটে সন্ত্রাসী সহ দেশীয় অস্ত্র সহ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এতে আবুল হোসেন সিকদার ও তাঁর ছেলেরা বাঁধা দিলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করা হয়।
এবিষয়ে আহত সাংবাদিক জাহিদ শিকদার বলেন,
নান্নু সিকদার পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী সহ নিয়ে বেআইনীভাবে আমাদের ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছিলো। আমি এতে বাঁধা দিলে নান্নু ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যায় উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আমার ভাইয়েরা আসলেও তাদেরকেও পিটিয়ে ও রাম দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাডাকি শুনে আমরা শেখানে যাই, গিয়ে দেখি তারা (নান্নু গংরা)
দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অপরদিকে অভিযুক্ত নান্নু সিকদার বলেন,‘ এবিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
এবিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন,‘ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’