বাউফল প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ বাস্তবায়ন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও ব্যাপক তৎপর রয়েছে। পৌর শহরসহ উপজেলার বড় বড় বন্দর গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, পুলিশের চেকপোষ্ট ও সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে।
শুক্রবার (২জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গণজামায়েত, অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধসহ বিধিনিষেধ অমাণ্য করলে করা হচ্ছে জরিমানা। সর্বোপরি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে জনবহুল এলাকা গুলো বেশ ফাঁকা রয়েছে। গণজামায়েত না থকলেও খেটে খাওয়া মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। চলছে সীমিত রিকশা ও ব্যক্তিগত মটোরসাইকেল। নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ঔষুধের দোকান ছাড়া সব প্রায় দোকানই বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিধি নিষেধ অমাণ্য করায় পৌরসভা, কালাইয়া, দাশপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে ৩৭ জনের কাছ থেকে ১৮হাজার ৯৫০টাকা জরিমানা করা হয়। সচেতন নাগরিকেরা বলেন,‘ করোনা প্রতিরোধে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করার বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন, ‘সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পুলিশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সকাল থেকে পুলিশের টহল, চেকপোষ্ট চলছে। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় পুলিশ সহায়তা করছে। পুলিশের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘কঠোর বিধি নিষেধ শতভাগ বাস্তবায়ন করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যারা বিধি নিষেধ মানছে না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।