স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাকেরগঞ্জ জনতা ব্যাংক লিমিটেড এর
কর্মরত মোঃ ওমর ফারুক। জনসাধারণকে ব্যাংকিং সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হন। ব্যাংকার বাবার মাধ্যমে করোনা আক্রান্ত হয় আয়ান। আয়ানের মাও আক্রান্ত হন।
এমনকি তাদের সংস্পর্শে এসে প্রতিবেশী আলী আহমদের তিন বছর বয়সী সন্তান আল-ইসলামের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আল-ইসলাম আগে থেকেই লিভারের রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ছোট ছোট বাচ্চাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরিবারগুলো করোনা আতংকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা আক্রান্ত ওমর ফারুকের পরিবার এবং আল-ইসলামের শারীরিক, পারিবারিক এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এনে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান করেন বাকেরগন্জ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সহকারী সার্জন ডাঃ মনিরুজ্জামান খান।
করোনা আক্রান্ত পরিবারগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে ডাঃ মনিরুজ্জামান খান বলেন, আল্লাহর রহমতে তারা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য । সদ্য করোনা মুক্ত পরিবারগুলো জানায়, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। বাচ্চাদের নিয়ে আমরা অনেক ভয়ে ছিলাম। ডাঃ মনিরুজ্জামান স্যার এই বিপদকালীন সময় আমাদের পাশে পাশে ছিলেন পরিবারের একজন অভিভাবকের মত ত্রাণকর্তা হিসেবে। চিকিৎসার পাশাপাশি সবসময় আমাদেরকে সাহস জুগিয়েছেন। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আমরা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ্য আছি।
তারা অত্র উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ডাঃমনিরুজ্জামান খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে তত্ত্বাবধান করেন বাকেরগন্জ্ঞ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকতা ডাঃ আবদুল মুনয়েম সাদ।