সম্প্রতি কূটনৈতিকদের আচরণ নাগরিক সমাজের উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে ১৫ কূটনৈতিক মিশনের মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে যৌথ বিবৃতি ভালো দৃষ্টিতে দেখছে না বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও মানবাধিকার কর্মীগণ। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কর্মসূচী, নির্বাচন, মানবাধিকার ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে হুট করে কূটনৈতিকদের মন্তব্য বা বিবৃতি অনাকাক্সিক্ষত। বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে যেকোন পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য, তবে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে কোন প্রকার বিবৃতি একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য অসম্মানজনক। গত ২৫ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে সন্ধ্যায় ঢাকা গুলশানে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার বাসায় ৫টি প্রভাবশালী দেশের রাষ্ট্রদূতদের নৈশভোজের নামে সভায় অংশগ্রহণ এবং ৬ ডিসেম্বরে বিবৃতি একই সূত্রে গাথা বলে মনে করেন সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মীগণ মনে করে মোড়ল দেশদের তুলনায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিকভাবে, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অর্থপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বেশকিছু নির্বাচন আয়োজনে নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী এক বিবৃতিতে উপরোক্ত মন্তব্য করেন।